ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বসন্তের যত রোগ

ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান
বসন্তের যত রোগ

প্রকৃতি বসন্ত যেভাবে গ্রহণ করে, মানুষের শরীর সেভাবে পারে না। এ সময় দিনে গরম আবার রাতে ঠান্ডা- এমন আবহাওয়ায় শরীর খারাপ হতে পারে কারও কারও।

বসন্তকালে শারীরিক নানা জটিলতার কিছু অনুঘটকও রয়েছে। এ সময় বাতাসে ধূলিকণা, ফুলের রেণু, পাতা ওড়া বেড়ে যায়। বসন্তে ফুলের একটি বড় অংশের পরাগায়ন ঘটে বাতাসের মাধ্যমে। তাই বসন্তে পুষ্পরেণু অ্যালার্জি সাধারণ ঘটনা। শুষ্ক হাওয়ায় ধুলাবালু থেকেও অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ চুলকানো ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া। তাই যাদের একটু অতি সংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, তাদের এ সময়টা থাকতে হবে সাবধান। অ্যালার্জিজনিত এসব সমস্যা এড়াতে মুখে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করতে পারেন।

বসন্তকালের কাশি বেশির ভাগ সময় দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনা আপনি সেরে যায়। উপসর্গ থেকে আরাম পাওয়ার জন্য কাশির সিরাপ নয়; বরং কিছু উপদেশ মেনে চলতে পারেন।

প্রতিরোধ

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে কফ পাতলা হবে।

গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতেও কফ পাতলা হবে, তবে মনে রাখবেন, ভাপে করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য ভাইরাস মারা যায় না।

শুকনা কাশিতে গলা খুসখুস করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করুন। মুখে কোনো লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলেও আরাম পাবেন।

করণীয়

ঘর থেকে বের হওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নিন। যদি রাতের দিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে সঙ্গে একটা গরম কাপড় রাখুন। আবার একগাদা শীতের কাপড় পরার কারণে ঘেমে গিয়ে ঘাম বসে শরীর খারাপ হতে পারে। শীত বিবেচনায় রেখে কাপড়, কাঁথা ব্যবহার করুন। বাড়িতে বা অফিসে কেউ ভাইরাস জ্বর বা সর্দি-কাশিতে ভুগলে সতর্ক থাকুন। কারণ, এগুলো সংক্রামক রোগ। তাই সম্ভব হলে একটু দূরত্ব বজায় রাখুন।

কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, রক্ত দেখতে পেলে, কাশতে কাশতে যখন শরীর নীল হয়ে যাচ্ছে বা প্রচণ্ড জ্বর থাকছে, কথা বলতে কষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেকোনো কাশি দুই বা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে অবশ্যই বক্ষব্যাধিবিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন।

বসন্তে ফুলের রেণু ও ধুলাবালু থেকে অনেকের হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে। শ্বাসটান বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে ইনহেলার নিতে হবে।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান

মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত