কিশোর-কিশোরীদের উন্নত পুষ্টি ও নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে জাতীয় কর্মশালা

ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ১৬০ জন স্কুল শিক্ষক ও ১৭ হাজার ৮৯৭ জন কিশোর-কিশোরীর পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধিবিষয়ক জ্ঞান বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ প্রশিক্ষিত কিশোর-কিশোরীদের মাধ্যমে আরও ১৩ হাজার মানুষকে উন্নত পুষ্টি ও নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে-

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকায় হয়ে গেল ‘উন্নত পুষ্টি, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যবিধি আচরণ উন্নয়নের জন্য কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা। ইউএসএআইডির ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটির আয়োজন করে। হোটেল আমারি ঢাকায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্প, যা অ্যাবট অ্যাসোসিয়েটস দ্বারা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু, গর্ভবতী, বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীদের ও কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি সাধন। তাই নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি গ্রামীণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে জীবন দক্ষতা উন্নয়ন, নেতৃত্ব ও অ্যাডভোকেসি করার দক্ষতা, লিঙ্গ সমতা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কিশোর ও কিশোরীদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে আসছে। এপ্রিল ২০২১ থেকে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি সাতটি জেলার ৮০টি স্কুলের সঙ্গে কাজ করছে। ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ১৬০ জন স্কুল শিক্ষক ও ১৭ হাজার ৮৯৭ জন কিশোর-কিশোরীর পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধিবিষয়ক জ্ঞান বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ প্রশিক্ষিত কিশোর-কিশোরীদের মাধ্যমে আরও ১৩ হাজার মানুষকে উন্নত পুষ্টি ও নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।

কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগটিকে আরও বেশি সংখ্যক জেলা ও বিদ্যালয়ে সম্প্রসারণ করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে জাতীয় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহায়তায় ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্রামীণ স্কুলগুলোর সঙ্গে কাজ করার যে মডেল বাস্তবায়ন করেছে তা উপস্থাপন করে। মডেলটি শুধু স্বল্পমেয়াদী পুষ্টি ও নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধির আচরণগুলোকে নিশ্চিত করে না, বরং স্কুল ও কমিউনিটির দীর্ঘমেয়াদী সক্ষমতা গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি টেকসই কাঠামো তৈরি করে, যা স্বাস্থ্যকর আচরণ অনুসরণের প্রচার অব্যাহত রাখে। এ ছাড়া একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সরকারি, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কিশোর-কিশোরী ও গ্রামীণ স্কুলগুলোর বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম গ্রামীণ স্কুলগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ইউএসএআইডির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ শুধু দেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে না বরং ভবিষ্যতের বুদ্ধিদীপ্ত ও সুস্থ নেতা তৈরি করবে, যারা দেশকে বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে। ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটির মুখপাত্র ও অ্যাবট অ্যাসোসিয়েটসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালিসন বেয়ার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন গ্রামীণ বাংলাদেশে পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যবিধি আচরণের উন্নতির চাবিকাঠি।