উন্নয়নের পূর্বশর্ত শিক্ষা

আফতাব চৌধুরী

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

প্রাচীনকাল থেকেই সভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যে সমাজ বা জাতি শিক্ষায় যত প্রাধান্য দিয়েছে, সে সমাজ তথা জাতির তত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কাজেই উন্নয়নের পূর্বশর্ত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের মনকে প্রশস্ত করে এবং জ্ঞান বৃদ্ধি হয়। শিক্ষিত তথা অক্ষরসম্পন্ন মানুষই পেরেছে সব উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে এবং নতুন কিছু সৃষ্টি করতে, তারাই উন্নয়নের সব সুবিধা ভোগ করতে পারছে। শিক্ষা ছাড়া অন্যের ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি বোঝা যায় না এবং তথায় ভূমিকা রাখাও সম্ভব নয়। অনেকে জানতে না পারলে নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে না পারলে আত্মপ্রত্যয় বা আত্মবিশ্বাস বিকশিত হয় না। মঙ্গলজনক কাজও করতে শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আজকে যে উন্নয়ন এবং উন্নয়নে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা একমাত্র শিক্ষিত বলেই তা পারছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কথা ভাবলে দেখা যায়, একমাত্র শিক্ষাই তাদের এ বিশ্বকে জয় করতে এবং তাদের প্রভুত্ব বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। স্পেনও অনুধাবন করতে পেরেছিল অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়া কঠিন এবং এটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তাই তারা কলমের যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে অতি কঠোরভাবে তা অনুশীলনের মাধ্যমে সব জাতিকে সচেতন করে অতি স্বল্পসময়ের মধ্যে সফলকাম হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, শিক্ষা মানুষকে পরিবর্তন করে দিতে পারে, পারে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে। পারে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে। সংগত কারণেই বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ৬০-এর দশকে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, সার্বিক উন্নয়ন সাধন শিক্ষা ছাড়া অসম্ভব। এছাড়া কোনো দেশ একার পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন যৌথ প্রচেষ্টা। বিশ্বের ৮৮টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে ১৯৬৭ সালে ঢাকা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে গণজাগরণ সৃষ্টির নিমিত্তে প্রতি বছর আন্তর্জাতিকভাবে সাক্ষরতা দিবস পালন, ২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত। এ মহতি কাজে ধনী দেশ দরিদ্র, উন্নয়নশীল দেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দানে আশ্বাস প্রদান করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়, যদিও কোনো কোনো দেশ এ সময়ের মধ্যে সফলকাম হতে পারেনি, তথাপি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছে। বাংলাদেশ তন্মধ্যে একটি দেশ। পরবর্তী সময়ে এ লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণ করে ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য বা মিলিনিয়াম গোল নির্ধারণের কালেও শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কাজেই সব পর্যায়ে বিষয়টির গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে ২০২০ সালেও সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা যায়নি।

প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটিকে ঘিরে অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আর তা হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে শহর ও উপশহরকেন্দ্রিক। দিনের শেষে তা হয়ে যাবে অতীত। কারণ এমনি আরও একটি দিবস পালনের প্রস্তুত নিতে হবে যে! যার জন্য এবং যার কারণে এ দিবস পালন- তাকে কে জানাবে, কে সচেতন করবে? তা ভাবার সময় এসেছে। এ দিবসকে কেন্দ্র করে গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। নয়তো এ উদ্যোগ নিষ্ফলে পরিণত হবে। সরকার এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু জনগণ যদি এতে সক্রিয় অংশগ্রহণ না করে, তবে তা গতিময় হবে না।

বিশ্বে বর্তমানে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ নিরক্ষরতার অভিশাপে নিমজ্জিত। তন্মধ্যে ৮০ কোটি বয়স্ক এবং ২০ কোটি শিশু এবং এর ৭০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ এশিয়ার দেশগুলোতে। এ চিত্রের আলোকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) সারা পৃথিবীতে সবার জন্য শিক্ষা আন্দোলনে একটি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ সেপ্টেম্বর ইরানের তেহরানে সাক্ষরতা সম্পর্কে একটি বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে মোট ৮৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন এবং দলিলে স্বাক্ষর দিয়ে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে প্রতিবছর দিবসটি সব পর্যায়ে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়।

শিক্ষার প্রসারতার জন্য সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বহুবিধ পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষানীতি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাস্তবায়ন চলছে। সব শিশু যেন শিক্ষার সমান সুযোগ পায়, সে ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুরাও যেন বিদ্যালয় গমন ও অধ্যয়ন করতে পারে এ লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে, স্কুল ক্যাসম্যান এলাকার সব শিশু যেন স্কুলে ভর্তি হয়, সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থাসহ, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, দরিদ্র ও মেধাবি শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি, স্কুলে টিফিন ইত্যাকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রায় সব স্কুল গমন উপযোগী শিশুরা বর্তমান ২০২২ খ্রি: শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাকেন্দ্রে তথায় স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এমনকি ঝরেপড়া শিশুরাও পুনরায় স্কুলে ভর্তি হয়েছে। শিক্ষা প্রসারে এনজিওদেরও কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে, যেন যেসব এলাকায় সরকারি শিক্ষা প্যাকেজ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, সে সব এলাকার শিশুরাও যেন শিক্ষার সুযোগ পেয়ে শিক্ষার মূল স্রোতধারায় একীভূত হতে পারে। এ উদ্যোগ সব পর্যায়ে ভূয়সী প্রশংসিত হচ্ছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে শিক্ষায় আমাদের দেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। বর্তমানে সব পর্যায়ে শিক্ষার জন্য গণজাগরণ ঘটেছে। এখন দরিদ্র, হতদরিদ্র, পাহাড়ি, জেলে- একদিন যাদের কাছে শিক্ষা ছিল অপ্রয়োজনীয় বিষয়, গুরুত্ব ছিল না, যাদের মুখে শোনা যেত শিক্ষিত হয়ে লাভ কী? ছেলেকে শিক্ষা দিলে যে আয় করবে তার চেয়ে এখন বেশি আয় করে। প্রত্যন্ত পাহাড়িদের মুখে শোনা যেত পোয়া (ছেলে) শিক্ষা পেলে তাকে হারাতে হবে, আমাদের শিক্ষার দরকার নেই। আজ ওইসব কথার পরিবর্তে শিশুকে কীভাবে শিক্ষা দেয়া যায়, সে কথা ভাবার অন্ত নেই। যেকোনো মূল্যে শিশুর শিক্ষা চাই। অনেক ঝুঁকির মধ্যেও শিশুর ভবিষ্যৎ চিন্তায় পিতামাতা শিক্ষাদানের নিমিত্তে অন্যত্র পাঠিয়ে দিতেও কুণ্ঠিত বোধ করেন না। যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিশু পাচারের ঘটনারও খবর পাওয়া যায়, তথাপি অভিভাবকরা শিশু শিক্ষার জন্য উন্মাদ হয়ে পড়ছে। এটা শুভলক্ষণ। এ ধারা অব্যাহত রাখা একান্ত প্রয়োজন।

শিক্ষার প্রসারতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বটে; কিন্তু মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতি রয়েছে প্রচুর। ঘাটতি রয়েছে সুশিক্ষার। আমরা উপলব্ধি করছি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর অনেক শিক্ষিত যুবকরা কর্মজীবনে সফলকাম হতে পারছে না। আবার যারা য্যেগ্যতা বা যে কোনোভাবে পদ পেয়েছে, তারাও তা ধরে রাখতে পারছে না। বড় পদ পেয়ে অর্থনৈতিক কাজ করছে, ক্ষতি করছে সমাজ তথা দেশের! যাদের ঘাম জরানো অর্থে উচ্চশিক্ষা পেয়েছে তাদের ঠকানোর প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। খাদ্যদ্রব্য যা খেলে বেঁচে থাকতে হবে, তাতেও ভেজাল! ভেজাল চিকিৎসায়। এমনকি শিশুখাদ্যেও ভেজাল। এসব সঠিক ও সুশিক্ষার অভাবে। নৈতিক শিক্ষার বড্ড অভাব উপলব্ধি করছি আমরা। এ অবস্থা থেকে কবে মুক্ত হওয়া যাবে, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারও জানা নেই। এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য চাই সুশিক্ষা তথা নৈতিক শিক্ষা! মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া বিশেষজ্ঞ বা পেশাধারী জনবল তৈরি করা অসম্ভব। বর্তমান সরকার ও বেসরকারি পর্যায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিষয়টি ভাবার বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

ওপরের আলোচনায় বিষয়টি বুঝতে অপেক্ষা রাখে না, যে সাক্ষরতাবিহীন উন্নয়ন অসম্ভব। সঠিক উন্নয়নবিহীন শান্তিও প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব। আর শান্তির পূর্বশর্ত হলো ন্যায্যতা, সাক্ষরতা ছাড়া ন্যায্যতা অচল। কারণ সুশিক্ষিত জনগণবিহীন ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তিই মানুষের কথা ভাবতে পারে, তাই মানুষের প্রয়োজন ও অধিকার বিষয়ে চিন্তা করতে পারে। পারে দুঃখী ও অসহায় মানুষের জন্য ভূমিকা রাখতে। নিরক্ষর মানুষ অন্ধের মতো। একজন অন্ধ আরেকজন অন্ধকে পথ দেখাতে পারে না এবং অন্যকে দেখাতে সহায়তা দিতে পারে না, তাই একজন সাক্ষরবিহীন মানুষ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখতে পারে না এবং অন্যকে দেখাতে পারে না। বিষয়টি অনুধাবন করে বর্তমান বর্ষে এ দিবসের গুরুভার নেয়া হয়েছে, তাই সাক্ষরতাই উন্নয়ন, আসবে দেশে শান্তি। বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি পরিষ্কার বোঝা যায়, মানুষ যতই উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেছে, ততই শোষণ বাড়ছে। মানুষ হয়ে যাচ্ছে স্বার্থপর। এ কারণেই একশ্রেণির মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দিন দিন অশান্তি ও অস্থিরতা নামক মানসিক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও যেন শান্তি নেই। এর কারণ অন্যায্যতা নামক ব্যাধি বিশ্বটাকে গ্রাস করে ফেলেছে! তাই বর্তমানে এই অশান্ত পৃথিবী হন্য হয়ে স্থবিরতা খুঁজতে শুরু করেছে। কোথায় পাবে একটু শান্তি! কে তা নিশ্চিত করতে পারবে? ইত্যাকার প্রশ্ন মানুষকে উদ্বিগ্ন করে ফেলছে। এ থেকে মুক্তির উপায় সাক্ষরতা। সাক্ষরতার মাধ্যমেই এর নিষ্পত্তি করা সম্ভব। কারণ সাক্ষরতার মাধ্যমেই মানুষ সুশিক্ষিত হবে, সুশিক্ষিত মানুষই ন্যায্য মানুষ। সুশিক্ষিত মানুষই নৈতিক মানুষ। শিক্ষাই পারে মানুষের মধ্যে মমত্ববোধ সৃষ্টি করতে, পারে মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে। কাজেই শিক্ষা ছাড়া উপায় নেই, সাক্ষরতা ছাড়া শান্তি নেই, শান্তি ছাড়া প্রগতি নেই। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার, যা প্রতিটি নাগরিকের পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অন্যদিকে সরকারও এ অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। তবে সরকারেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সংগত কারণেই শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সময় ও সামর্থ্যরে অভাবে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে সেক্ষেত্রে সচেতন নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। অগ্রগামী নাগরিকদের দায়িত্ব রয়েছে পশ্চাৎগামী নাগরিকদের এগিয়ে নেয়া। আর অনেক নাগরিক সে দায়িত্ব পালনও করছে বটে, তবে এর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। কাজেই সব নাগরিকের নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে সরকারের উদ্যোগে সহায়তা করার মাধ্যমে দেশে একদিন শিক্ষিত তথা মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং হবে দেশ উন্নত। শিক্ষিত নাগরিকই পারে উন্নত দেশ উপহার দিতে। কাজেই আমাদের সামর্থ্য অনুসারে ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করি। এ বছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে এ ব্রত, প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি। দেশ আমার, মাটি আমার, আমিও সরকারের অংশ, আমারও দায়িত্ব এদেশকে নিরক্ষরতার কলঙ্ক থেকে মুক্ত করা। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস সফল হোক- স্বার্থক হোক।

লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট