সাংসারিক আকর্ষণকে লঘুকৃত করাই তরীকতের উদ্দেশ্য।
* যেখানেই স্বার্থ জড়িত, সেখানেই বিবেকের সকল তাড়না চুরমার।
* সকল পুরস্কারের মূলে পরীক্ষা।
* দেহের পুষ্টি ইহলোকে ভোগ্য আর আত্মার পুষ্টি পরলোকে ভোগ্য।
* কুণ্ডকার্যের পরিণাম যাহা, কুণ্ডচিন্তারও পরিণাম তাহা।
* মঙ্গলময় হইতে কখনো অমঙ্গল আসিতে পারে না।
* যাহাদের অন্তরে প্রেম নাই, গজল তাহাদের উপর আছর করে না।
* যিনি পীরের আশেক তিনি রাছুলুল্লার আশেক, খোদারও আশেক।
* একই সময় মানুষ দুই বস্তুর আশেক হইতে পারে না।
* এবাদত করিলেই ধর্ম্ম জীবনের কর্ত্তব্য সমাপ্ত হয় না।
* জুয়া ব্যভিচারাদি শয়তানের প্রতিষ্ঠান।
* সৃষ্টির দর্পণে স্রষ্টাকে দেখো।
* সত্যের পথে মানুষকে আহ্বান করতে হবে কথা দ্বারা নয়, কর্মের দ্বারা।
* কার্য্যকে সংযত করা সহজ কিন্তু চিন্তাকে সংযত করা কঠিন।
* চিন্তাস্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করাই তরীকতের উদ্দেশ্য।
* যদি সাচ্চা থাকেন, তবে ভয়ের কোন কারণ নাই।
* ইছলাম বলিতে বুঝায় অন্তর্নিহিত প্রেমভাব ও স্রষ্টার উপর নির্ভরতা, ঘৃণা ও ঈর্ষার পরিহার।
* দুনিয়াটা অবিরাম শান্তির স্থান নয়।
* ঋণপাপ বড়ই খারাপ, মনের শান্তি নষ্ট করে।
* নিজরে মনকে দুশ্চিন্তা হইতে রক্ষা করুন।
* আয়াস, বাবুগিরি, অলসতা, কুসঙ্গ হইতে সর্Ÿদা দূরে দূরে থাকিবে।
* বান্দা হইয়া যদি বন্দেগী করিতে না পারি, তবে এ জীবনের আবশ্যকতা কি?
* দানকে অবহেলা করলে দাতার অসন্তোষভাজন হতে হয়।
* চরিত্রই প্রধান এবাদত।
* যেখানে আমিত্ব বিদ্যমান সেখানে কৃতকার্য্য সময়সাপেক্ষ।
* রূহ অতি পবিত্র বস্তু তাই প্রত্যেক দেহী মহব্বতের বস্তু।
* মানুষ সৃষ্টির সেরা। তাই তাহার সেবায় সারা বিশ্ব প্রকৃতি নিয়োজিত আছে।
* দুঃখের নিঃশ্বাস ত্যাগ করিবে না।
* খোদার উপর ও তাঁর হাবিবের উপর অটল ভক্তি রাখবে।
* তোমার বস্তু তুমি যেরূপে গড়াবে, সেইরূপ গড়বে।
* ব্যয়কে পরিমিত ক’রো।
* ঋণ-পাপ বড়ই কষ্টদায়ক।
* সকল অবস্থায় নফ্সকে দমন রাখিবে। খোদার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখিবে।
* অর্থ আবশ্যক বটে কিন্তু কেবল অর্থ মানুষকে শান্তি দিতে পারে না।
* যতই সৃষ্টকে ভালবাসিবে ততই স্রষ্টার অনুগ্রহভাজন হইবে।
* লোকের কু দেখবে না, সু দেখবে।
* অমঙ্গলের মধ্যে বহু মঙ্গল নিহিত আছে।
* আঁধার না থাকিলে আলোকের বাহার হয় না। দুঃখ না পাইলে সুখ উপভোগ্য।
বি. দ্র.- লেখাটিতে লেখকের বানানরীতি হুবহু বহাল রাখা হয়েছে