সুফিকোষ

পীরের দায়িত্ব অতি গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

পীর-মুরীদের ছেলছেলা কত পবিত্র, কত গুরুত্বপূর্ণ। এই পবিত্র সম্বন্ধ বর্ত্তমান যুগে রছমে পরিণত হইয়াছে। যেখানে অর্থের অধিকার, যেখানে প্রেমের অধিকার নাই। খোদার আশ্রয় লইলে অর্থকে পাওয়া যায়; কিন্তু যেখানে অর্থের আকাঙ্ক্ষা প্রবলতর, সেখানে খোদার আকাঙ্ক্ষা লঘুতর, যে হৃদয়ে গায়রে খোদার পূজা, সে হৃদয় খোদার গ্রহণীয় নহে। খোদা কাহারও সহিত শরীক হইতে চান না। একই সময় মানুষ দুই বস্তুর আশেক হইতে পারে না। প্রেমিক-প্রেমময়ের আশেক অর্থের আশেক নহে। যিনি প্রেমকে এখতেয়ার করিয়াছেন, তিনি ধন্য হইয়াছেন। প্রেমই সত্য, প্রেমই পাক, ইহা স্পর্শমণি, ইহার সংস্পর্শে অলি-আল্লাহ মিলে, রাছুল মিলে, খোদা মিলে। খোদা প্রেমকে জগতে দিয়াছেন, এই হেতু যে এন্্ছান ইহারই সাহায্যে খোদা তক্্ পৌঁছাইতে পারে। খোদা তাঁহার হাবিবকে দুনিয়ার বুকে পাঠাইয়া ছিলেন এই হেতু যে, তিনি ইনছানকে ঐ তরতীব শিক্ষা দিবেন, যে তরতীব দ্বারা সে প্রেম হাছিল করিতে পারে ও প্রেমের সাহায্যে প্রেমময়ের সান্নিধ্য লাভ করিতে পারে।

প্রেমই খোদা প্রাপ্তির প্রধান উপকরণ

আঁ-হজরত (দ:) প্রেমিক-প্রবর হজরত আলী (রা.) কে মারেফতের তরতীব খাছভাবে শিক্ষা দিয়াছিলেন এবং হজরত আলী (র:) হইতে ছেলছেলাক্রমে হজরত পীরাণপীর এবং হজরত পীরাণপীর হইতে পীর মুর্শিদ তক্্ শিক্ষা জারী হইয়াছে। তাঁহা হইতে আঁ-হজরত (দ:) তক্ এবং তাঁহা হইতে খোদা তক পৌঁছান যায়। ইহার অর্থ এই নয় যে, সারা জীবনটী ধরিয়া এই ক্রম অতিক্রম করিতে হয়, বরং প্রেমিক যুগপৎ প্রেমময় তক্ পৌঁছাইতে পারে আঁ-হজরতের মধ্যবর্ত্তিতায়। প্রেম একটি সেতু স্বরূপ, যাহার এক প্রান্তে প্রেমময় ও অপর প্রান্তে প্রেমিক। প্রেম-রজ্জু দৃঢ়রূপে পাকড়াও করিলে পীরের সাহায্যে আঁ-হজরত ও আঁ-হজরত (দ:)-এর সাহায্যে খোদা তক্্ পৌঁছাইতে পারে; কিন্তু সকলের মূলে চাই নিষ্কলুষ প্রেম!

(বি.দ্র. লেখকের বানান হুবহু রাখা হয়েছে)।