অবৈধ প্রেম ও পরকীয়ায় ব্যাপক ক্ষতি

মুফতি দিদার শফিক

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

আল্লাহতায়ালা নারী-পুরুষকে পরস্পর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা, সান্নিধ্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগা, এটি আল্লাহর এক সৃষ্টির রহস্য। কেন না, নারী-পুরুষ একে অপরের প্রতি আকর্ষণবোধ না করলে এ পৃথিবী টিকে থাকবে না। মনুষ্য সমাজের বিলুপ্তি ঘটবে। সৃষ্টিগত এ আকর্ষণের কারণেই মানুষ বিয়ে করে, পরিবার গঠন করে এবং এর ফলেই সমাজ ও রাষ্ট্র অস্তিত্ব লাভ করে। বলা বাহুল্য, জৈবিক চাহিদা মানবদেহের সৃষ্টিগত চাহিদা। সময় ও বয়সের একটি নির্দিষ্ট ধাপ ও পর্যায়ে এসে এ চাহিদা নারী-পুরুষকে ভেতর থেকে আলোড়িত করে, তখন বিপরীত লিঙ্গের মানুষটিকে কাছে পাবার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগে। যা একজন সুস্থ পুরুষ বা নারীর স্বাভাবিক দেহঘটিত ও মনোজগতের সক্রীয় পরিবর্তন, যা অনস্বীকার্য। আল্লাহতায়ালা এ চাহিদা পূরণের বৈধপন্থা বাতলে দিয়ে নারী-পুরুষের প্রেমময় সম্পর্ক স্থাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তার (আল্লাহর) নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিণী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তার কাছে শান্তি লাভ করতে পার আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এর মাঝে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে, সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে। (সুরা রোম : ২১)। জৈবিক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে আল্লাহতায়ালা বিয়ের মাধ্যমে বৈধপন্থায় তা পূরণের ব্যবস্থা রেখেছেন। যাতে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে পারিবারিক মেলবন্ধনের মাধ্যমে নারী-পুরুষের বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আর এর মাধ্যমে সুখময় দাম্পত্য গড়ে ওঠে। পৃথিবী হয় শালীন ও শান্তিময়। তাই এ নিয়মের বাইরে গিয়ে নারী-পুরুষের মানসিক বা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।

প্রেম ও পরকীয়া কী? : বিয়ের আগে নারী-পুরুষ একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বোধ বা ভালোলাগাকে কেন্দ্র করে বিয়ে না করেই পরস্পরে ঘনিষ্ঠ হওয়াকে প্রেম বলে। যা প্রকাশ পায় তাদের বিভিন্ন আচরণ ও অঙ্গভঙ্গীতে। কেউ প্রেমে পড়েছে এটা তখন বলা হয়, যখন দুজন তরুণ-তরুণীর মাঝে শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া, দেখা সাক্ষাৎ করা, সাক্ষাতে বা ফোনে রসালাপে মেতে ওঠা, পার্কে বা ক্যাম্পাসে হাত ধরাধরি করে হাঁটা, চিঠি আদান-প্রদান বা মুঠোফোনে ভালো লাগার অনুতূতি প্রকাশ করে ক্ষুদে বার্তা দেওয়া, একে অপরের হাত ধরে আজীবন পাশে থাকার গল্প করে বাদাম, ফুসকা খাওয়া। হালে প্রেমিক-প্রেমিকারা সাধারণত এসব সামষ্টিক আচরণের মধ্যদিয়ে একটি ঘোরলাগা সময় অতিবাহিত করে। আর পরকীয়া হলো, বিবাহিতদের প্রেম। স্বামী-স্ত্রীকে ঠকিয়ে অন্য নারীর আঁচলে বা দেহের ভাঁজে সুখ খোঁজা, অন্য নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা, তেমনি স্ত্রীও স্বামীকে ঠকিয়ে কিংবা ফাঁকি দিয়ে অন্য পুরুষকে তার ঘরে বা মনের ঘরে আসার সুযোগ দেওয়াকে পরকীয়া বলে।

প্রেমের সূচনায় পাপ : চোখের গোনাহ দিয়ে প্রেমের সূত্রপাত হয়। চোখ মানবহেদে গোনাহের প্রবেশদ্বার। চোখের চোরাচাহনী প্রেম-পরকীয়ার প্রথম ধাপ। তাই গোনাহ হয় এমন প্রত্যেক বস্তুর প্রতি তাকানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। একজন অপরিচিত সুন্দরী নারীর প্রতি তাকালে তার প্রতি স্বভাবজাত ভালোলাগা কাজ করে, ধীরে ধীরে ভালোবাসার জন্ম হয়। সে ভালোবাসা অবৈধ পন্থায় হওয়ায় পাপের বোঝা ভারী করে। এজন্য ইসলাম যেসব নারীদের প্রতি তাকাতে নিষেধ করেছে, তথা যাদের সঙ্গে পর্দা করে চলতে আদেশ করেছে, সেসব নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি বা স্বাভাবিক দৃষ্টিও পাপ। কারণ, আল্লাহ বান্দার চোখের চোরাচাহনী ও অন্তরের কুমন্ত্রণা সম্পর্কে জানেন। কোরআনে এসেছে, চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন (সুরা মোমেন : ১৯)। ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন যে, ব্যক্তি কুণ্ডদৃষ্টি, কুমন্ত্রণা, কুণ্ডকথা এবং অযাচিত পদক্ষেপ থেকে বেঁচে থাকল। সে তার দ্বীনকে সংরক্ষণ করল। কারণ, চোখের ভালোলাগা অন্তরে কুমন্ত্রণা সৃষ্টি করে। আর অন্তরের কুমন্ত্রণা প্রেম-পরকীয়ার জন্ম দেয়। ব্যক্তিকে অশ্লীল ও গর্হিত কাজে লিপ্ত করায়। এ কারণেই কোরআনুল কারিমে আল্লাহতায়ালা লজ্জাস্থান হেফাজতের আগে চোখ হেফাজতের কথা বলেছেন। নারী-পুরুষকে সম্বোধন করে তিনি বলেন, মোমেনদের বলুন! তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য পবিত্রতা রয়েছে। ঈমানদার নারীদের বলুন! তারাও যেন দৃষ্টি অবনত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে (সুরা নুর : ৩০-৩১)। হাদিসে এসেছে, গায়রে মাহরম নারীর প্রতি (স্বাভাবিক) প্রথম দৃষ্টি মাফ, এর পর দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার দৃষ্টি দেওয়া পাপ। কারণ তখন এ দৃষ্টিটা স্বেচ্ছায় দেওয়া হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুই চোখের ব্যভিচার হলো হারাম দৃষ্টি দেওয়া। দুই কানের ব্যভিচার হলো পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো, অশোভন উক্তি, হাতের ব্যভিচার হলো, পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হলো গোনাহের কাজের দিকে পা বাড়ানো, অন্তরের ব্যভিচার হলো- কামনা-বাসনা আর যৌনাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে। মেশকাতুল মাসাবিহ : ১/৪৮, হাদিস নং ৮৬)।

প্রেম-পরকীয়ার ক্ষতি : প্রেম ও পরকীয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। স্পষ্ট হারাম। এর মাধ্যমে একজন বান্দা বা বান্দী আল্লাহর বিরাগভাজনে পরিণত হয়। সমাজ নষ্ট হয়। সংসারে ভাঙন ধরে। পারিবারিক সুখ ও শান্তি উবে যায়। সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হয়। নাটক সিনেমায় বা গল্প উপন্যাসে প্রেমকে যতই পবিত্র বলা হোক- সেটা পবিত্র নয়, বৈধ না হওয়ার কারণে। নাটক সিনেমা দেখে আজকাল কিশোর-কিশোরীরাও প্রেমে পড়ে। কেউ কেউ বয়স হওয়ার আগেই সংসার পাতে। কেউ কেউ প্রতারিত হয়। ধর্ষিত হয়। আজকাল খুনও হয় এসব প্রেম-পরকীয়ার জেরে দেদারছে। তাই পারিবারিক বন্ধন ও সামাজিক মর্যাদা ও শান্তিকে অক্ষুণ্ণ ও স্থিতিশীল রাখার জন্য, আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য সর্বদাই প্রেম-পরকীয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রেম-পরকীয়া থেকে বাঁচার উপায় : প্রেম-পরকীয়া থেকে বাঁচার সহজ উপায় হলো, অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করা। আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ মেনে চলাকে জীবনের চরম সফলতা মনে করা। আল্লাহ ও রাসুলকে ভালোবেসে হৃদয়ের গভীরে নেক কাজকে স্থান দেওয়া এবং পাপ কাজকে হৃদয় থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখা। সর্বোপরি, অবৈধ প্রেম না করে শান্তিময় প্রেমের প্রত্যাশী হয়ে বৈধ সম্পর্ক বিয়েকে গুরুত্ব দেওয়া। বিয়ের পর স্বামী তার চরিত্র আর স্ত্রী তার সতিত্বকে পবিত্র রাখার মাধ্যমে বৈবাহিক সম্পর্ককে দৃঢ় ও পবিত্র রাখা। প্রচলিত প্রেমে নয়, বিয়েতে বিশ্বাসী হওয়া এবং দাম্পত্য জীবনকে প্রেমময় করে গড়ে তুলতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে আন্তরিক হওয়া। দ্বন্দ্বে বা স্বার্থে জড়িয়ে স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের সঙ্গে কোনোভাবেই দূরত্ব তৈরি না করা। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য হতে পারে, এটা প্রেমকে আরো গভীর করে। খুনসুটি প্রেমেরই অংশ। এ মনোমালিন্যের ওপর জেদ ধরে দূরত্ব বাড়ানো যাবে না। একে জিইয়ে রেখে দূরত্ব তৈরি হলেই সাধারণত সমাজে পরকীয়ার জন্ম ও বিস্তার ঘটে। স্বামী-স্ত্রীর ওপর শরিয়ত অসমর্থিত প্রভুত্ব মনোভাবের আচরণ না করা এবং স্ত্রী-স্বামীর বৈধ আদেশ পালনে সচেষ্ট হওয়া। স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘ সময় একে অপর থেকে দূরে না থাকা। একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে এসব নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করলে সমাজ থেকে প্রেম পরকীয়ার বিষবাষ্প কিছুটা হলেও দূরীভূত হবে।

প্রেমে ব্যভিচারের হাতছানি : সৃষ্টিগতভাবেই নারী-পুরুষের প্রেমের চূড়ান্ত পর্ব দুটো মনের মিলন থেকে দুটো দেহের মিলনে গড়ায়। এখানে নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য বিষয়। আল্লাহর ভয়ের ওপর শয়তানের প্ররোচণা জয়ী হয়ে গেলে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে পারে, যে কোনো নারী বা পুরুষ। প্রেম-পরকীয়ার সূত্রে ভালোলাগা, ভালোবাসা, কাছে আসার পর্ব উত্তীর্ণ হয়ে যেকোনো সময় আসতে পারে ব্যভিচারের হাতছানি। এটা মনুষ্য দুর্বলতা। তাই আল্লাহপাক অশ্লীলতা ও ব্যভিচারের নিকটবর্তী হতে নিষেধ করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ ’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৩২)। রাসুল (সা.) বলেছেন, অবৈধ জরায়ুতে বীর্য রাখা, শিরকের পর সর্বাধিক বড় অপরাধ।’ (আল-ওয়ারালি-ইবনে আবিদণ্ডদুনিয়া:১৩৭)।

ব্যভিচারের ক্ষতি : অবৈধ পন্থায় জৈবিক চাহিদা মিটানোই আজকালের প্রেম-পরকীয়ার মূল উদ্দেশ্য। হাদিসের ভাষ্যমতে, এ অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক তথা ব্যভিচার ঈমান বিধ্বংসী অশ্লীল কাজ। তাতে লিপ্ত থাকাবস্থায় ব্যক্তির ঈমান থাকে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারে রত থাকা অবস্থায় মোমিন থাকে না (বোখারি : ২৪৭৫)। সে তাওবা করা ছাড়া ঈমান ফিরে পায় না। অন্য হাদিসে এসেছ, যখন কোনো ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন তার ঈমান বের হয়ে মাথার ওপর ছায়ার মতো ঝুলন্ত থাকে। যদি সে আল্লাহর কাছে তাওবা করে, তাহলে ফিরে আসে (আবু দাউদ : ৪৬৯০)।

ব্যভিচারের শাস্তি : প্রেম-পরকীয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি রবের নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত হয়। নিজেকে আল্লাহতায়ালার ক্রোধের উপযুক্ত করে। প্রেম-পরকীয়া, ব্যভিচারে নিমজ্জিত ব্যক্তি দুনিয়া ও আখেরাতে ছয় ধরনের আজাবে পতিত হয়। দুনিয়ায় তিনটি, দীপ্ততা ও উজ্জ্বলতা চলে যাবে। অভাব-অনটন লেগে থাকবে এবং হায়াত কমে যাবে। আর আখেরাতে তিনটি : আল্লাহতায়ালার ক্রোধের সম্মুখীন হবে। হিসাব কঠিন হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে (মিযানুল ইতেদাল : ১ : ৫)। সাহাবি আনাস (রা.) বলেন, ব্যভিচারে স্থায়ী ব্যক্তি মূর্তিপূজকের ন্যায় (তাফসিরে ইবনুল কায়্যিম)। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল বলেন, হত্যার পরে ব্যভিচার থেকে বড় কোনো অপরাধ নেই।

প্রবিবেশীর বউ নিরাপদ থাকুক : সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.) রাসুল (সা.) কে সর্বাধিক বড় গোনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। অভাবের ভয়ে সন্তান হত্যা করা এবং প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া (বোখারি : ৪৭৬১)। অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচারকারী ব্যক্তির দিকে কেয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা তাকাবেন না এবং তাকে পবিত্রও করবেন না। তাকে বলা হবে, জাহান্নামিদের সঙ্গে জাহান্নামে প্রবেশ করো। (আত-তারগিব : ৩ : ২৬৬)। প্রতিবেশীর স্ত্রী কাছের ও সম্মানের। তার সঙ্গে সম্পর্কের স্বাভাবিকতার কারণে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়াও সহজ। তাই রাসুল (সা.) উম্মতকে সতর্ক করেছেন প্রতিবেশীর স্ত্রীকে সম্মান দেওয়ার জন্য। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।

মরণব্যাধি রোগের প্রাদুর্ভাব : রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন ওজনে কম দেওয়া হবে, তখন দৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে। যখন ব্যভিচার বেড়ে যাবে, তখন মরণব্যাধির প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। আর যখন মিথ্যা বেশি চর্চিত হবে, তখন হঠাৎ মৃত্যু বেড়ে যাবে (তাফসিরে ইবনুল কায়্যিম)।

ব্যভিচারের লিপ্ত হয় না খাঁটি মোমেন : দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। আখেরাত চিরস্থায়ী। আখেরাতের সফলতাই মোমেনের কাম্য। সফল ও খাঁটি মোমেনদের পরিচয় আল্লাহ পবিত্র কোরআনে তুলে ধরেছেন। আল্লাহতায়ালা যৌনাঙ্গের হেফাজতকে সফলতার জন্য শর্ত করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে, তবে স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে তিরস্কৃত হবে না। এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে (সুরা মোমেনুন : ৫-৭)।

লেখক : মুহাদ্দিস ও মিডিয়াকর্মী