ঢাকা ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুফিকোষ

সুফিকোষ

প্রবৃত্তি : প্রবৃত্তি দমন ছুফীর প্রধান লক্ষ্য। যে ব্যক্তি প্রবৃত্তির দ্বারা চালিত হয়, সে পশুবৎ। আত্মা সবল হইলে প্রবৃত্তি হীনবল হয়। যে প্রবৃত্তির দাস সে মানব নামের অবাচ্য। সাধারণত কামবৃত্তি, ক্রোধ-লোভ, ধন-লিপ্সা, ভোজন-স্পৃহা ও অহংকার মানবকে সৎপথ হইতে স্খলিত করে। ইহাদিগকে দমন করাই মানবের শ্রেষ্ঠত্ব।

কামবৃত্তি : বংশ বৃদ্ধির জন্যই কাম-বৃত্তির সৃষ্টি। এই বৃত্তি প্রবল হইলে মানুষ লজ্জা ও ভয় পরিত্যাগ করে এবং পাপের অতল সমুদ্রে নিমগ্ন হয়। স্ত্রী লোকের প্রতি অসংযত দৃষ্টি যেরূপ দোষণীয় কিশোর বালকের প্রতি কামোদ্দীপক দৃষ্টিও সেইরূপ দোষণীয়। কামভাবে দৃষ্টিপাত চক্ষুর পক্ষে ব্যভিচার। এই রিপুকে দমন করিবার জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। যে সকল ব্যক্তির পক্ষে কুণ্ডপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করিবার যথেষ্ট সুযোগ আছে এবং কোনো প্রতিবন্ধক বা বাধার কারণ নাই, সেই সকল ব্যক্তি যদি পাপ হইতে বিরত থাকে, তবে মহাপুণ্যের অধিকারী হয়। সেজন্য যদি যুবকগণ প্রবৃত্তির বিষয় তাড়নার মধ্যে পরহেজগারী এখতেয়ার করে, তবে তাহারা আল্লাহর বিশেষ প্রিয়পাত্র হইতে পারে।

হজরত ইউছুফ চরিত্রবলের যে অপূর্ব দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছিলেন, তাহা জগতের আদর্শ। স্ত্রীলোকের পরিচ্ছদের উপরে দৃষ্টিপাত করা, স্ত্রীলোকের কণ্ঠস্বর শ্রবণ করা, তাহাদের সুগন্ধের ঘ্রাণ লওয়া, তাহাদের নিকট সংবাদ প্রেরণ করা, তাহাদের দৃষ্টির পথে চলাফেরা করা, তাহাদের সহিত বাক্যালাপ করিবার চেষ্টা করা সমভাবে দোষণীয়। হযরত রাসূলুল্লাহ বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি উদর, কামেন্দ্রিয়, জিহ্বাকে অনিষ্ট হইতে রক্ষা করিয়াছে, সে সকল আপদ বিপদ হইতে রক্ষা পাইয়াছে। (ছুফী : পৃষ্ঠা : ২৭)।

[উল্লেখ্য, লেখকের বানান হুবহু রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত