সুফিকোষ

খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর উপদেশ

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

১. শরীয়ত ও তরীকত পরস্পর সংশ্লিষ্ট। শরীয়ত হইতেছে ভিত্তি, আর তরীকত হইতেছে কাঠামো। শরীয়ত যত মজবুত হইবে, তরীকত ততই পোখ্তা হইবে। শরীয়ত পাঁচটি স্তম্ভের উপরস্থিত, যথা- কলেমা, নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ্জ। প্রথম তিনটি সর্ব্বসাধারণের জন্য মনোনীত, জাকাত ও হজ্জ সম্পন্ন-ব্যক্তির পালনীয়।

২. তরীকতে অগ্রসর হইলে শরীয়তের পাবন্দ হওয়া আবশ্যক। তরীকতের প্রথম পাঠ মহব্বত। খোদার উপর মহব্বত, রছুলের উপর মহব্বত, পীরের উপর মহব্বত, অবশেষে সৃষ্টির উপর মহব্বত।

৩. ২য় পাঠ চরিত্র গঠন। যাহার চরিত্র নাই, তাহার কিছুই নাই। তাহার শরীয়ত ও তরীকত উভয়ই নিষ্ফল।

৪. ৩য় পাঠ চরিত্র গঠিত হইলে খোদীকে (আমিত্বকে) বর্জ্জন করিতে হইবে, নিজকে ক্ষুদ্রতম মনে করিতে হইবে, অভিমানকে বিদায় দিতে হইবে, অপরের জন্য স্বার্থকে বলি দিতে হইবে।

৫. ৪র্থ পাঠ রেয়াজাত (কৃচ্ছ্র-সাধন)। আজকার ও আশগাল, মোরাকেবা, তছোওয়ার, অতিরিক্ত নামাজ, অতিরিক্ত রোজা, দরূদ শরীফ, আবৃত্তি, তফক্কোর, নির্জ্জনবাস ও নিজ্জন চিন্তা।

৬.নফ্ছকে (কুপ্রবৃত্তিকে) ফানা করাই তরীকতের উদ্দেশ্য। হাদিছে আছে ‘মুতু কাবলা আন্তামুতু’ অর্থাৎ ‘মওতের পূর্ব্বে মরো’। নফছ বশীভূত না হইলে মা’রেফত হাছেল হয় না। শুষ্ক শরীয়ত খোদার নৈকট্য লাভ করিতে অসমর্থ। যতই নফছ আয়ত্ত্বাধীন হইবে, যতই আমিত্বের বিনাশ হইবে, ততই ঐশী মহব্বত বাড়িতে থাকিবে এবং ততই খোদার ভেদ(রহস্য) অনুভূত হইবে। (লেখকের বানান হুবহু রাখা হয়েছে)।