আশুরার আমল

জুনাইদ মাহদি

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

হিজরিবর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলে। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে অতীব গুরুত্বের সঙ্গে আশুরার রোজা পালিত হত। এখন আশুরার রোজা নফল রোজা হিসেবে পালিত হয়। আশুরার দিনে একমাত্র রোজা পালন ছাড়া অন্য কোনো আমল কোরআন-হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। কামুসুল ফিকহি ৪/৩৬৬) আশুরার রোজা সুন্নাত। আশুরার দিনের আগে বা পরে (৯ মহররম বা ১১ মহররম) আারো একটি রোজা রাখা উচিত। যাতে ইহুদিদের আমলের সঙ্গে সাদৃশ্য না হয়। (কেফায়াতুল মুফতি : ৬/৩৯০, প্রকাশনা : ইরাদাতুল ফারুক, করাচি, ফাতাওয়া আলমগিরি : ১/১০২, রশিদিয়া) বর্তমানে যেহেতু ইহুদিরা রোজা রাখে না, তাই শুধু ১০ তারিখেও রোজা রাখার অবকাশ রয়েছে। মুসলিম শরিফের এক হাদিসে বিধৃত হয়েছে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন আশুরার দিন নিজে রোজা রাখলেন এবং (অন্যদেরকে) আশুরার রোজা রাখার আদেশ করলেন। তখন সাহাবারা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এটি এমন একটি দিন (আশুরা) ইহুদি-খ্রিষ্টানরা যার সম্মান প্রদর্শন করে।' নবিজি (সা.) বললেন, ‘যদি আগামী বছর পাই, ইনশাআল্লাহ, নবম তারিখে রোজা রাখব। বর্ণনাকারী বলেন, ‘তিনি আর আগামী বছর পাননি অর্থাৎ রাসুল (সা.) ইন্তেকাল করেছেন। (মুসলিম : অধ্যায় : রোজা, পরিচ্ছেদ : আশুরার রোজা ১/৩৫৯, কাদিমি, মুসলিম : ২৬৬৬) অন্য এক হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) আশুরার দিন রোজা রেখেছেন এবং রোজা রাখার আদেশ করেছেন। (বোখারি : ২০০৪, মুসলিম : ১১২৮, আততারগিব ওয়াত তারহিব : ১৫৩১, হাদিস : সহিহ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, 'রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা আল্লাহর মাস মহররমের রোজা, ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ রাতের (তাহাজ্জুদণ্ডএর) নামাজ'। (মুসলিম : ১১৩৬, আবু দাউদ : ২৪২৯, তিরমিজি : ৭৪, নাসায়ি : ৩/২০৭)।