সুফিকোষ

তরীকতের পরিচয়

খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.)

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

শরীয়ত ও তরীকত ইছলামের দুটি অঙ্গ। শরীয়ত বহিরঙ্গ, তরীকত অন্তরঙ্গ।শরীরের সহিত রুহের যে সম্বন্ধ, শরীয়তের সহিত তরীকতের সেই সম্বন্ধ। মানব জীবনে উভয়ই আবশ্যক। শরীয়তের বিধান প্রত্যেকের পালনীয়। শরীয়ত বিনা তরীকত অসম্পূর্ণ। রুহের উন্নতির জন্য তরীকত আবশ্যক। যিনি আত্মা ও পরমাত্মার সম্বন্ধ বুঝিতে চান, যিনি খোদাতায়ালার নৈকট্য লাভ করিতে চান, যিনি সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার বিদ্যমানতা উপলব্ধি করিতে চান। যিনি ইহলোকে পরলোকের স্বাদ গ্রহণ করিতে চান, যিনি ইবাদতে তন্ময়তা লাভ করিতে চান, তাহার জন্য তরীকত অপরিহার্য্য। অজু করয়িা নামাজ পড়া শরীয়ত, আর হামেশ বা-অজু থাকিয়া দেলকে খোদার দিকে মোতওয়াজ্জা করা তরীকত। জাহেরী তাহরতকে শরীয়ত বলে। আর বাতেনী তাহরতকে তরীকত বলে। শরীয়তপন্থী শরীরকে পাক রাখে। আর তরীকতপন্থী রিয়া, শেরক, কুফর, কুচিন্তা প্রভৃতি হইতে দেলকে পাক রাখে।

(খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) রচিত ‘তরীকত শিক্ষা’ বই থেকে চয়ন করা হয়েছে এবং লেখকের বানান বহাল রাখা হয়েছে।)