ঢাকা ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাদিসের আলোকে তাসাউফ-পাঠ আত্মতুষ্টির সুফল

হাদিসের আলোকে তাসাউফ-পাঠ আত্মতুষ্টির সুফল

১. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, সম্পদের আধিক্যের নাম ধনাঢ্যতা নয়, নিশ্চয়ই ধনাঢ্যতা হলো মনের প্রাচুর্যতা। ( আয-যুহদ : পৃষ্ঠা: ৩৫, হাদিস: ৯৯)। এ হাদিস থেকে শিক্ষা হলো মনকে স্থির রাখতে হবে। আল্লাহর দেয়া রিজিক যা আছে তাতে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তাহলে অঢেল সম্পদ না থাকলেও মনে কখনো কষ্ট থাকবে না। জীবনে চলার পথে অভাব অনুভব হবে না। সর্বাবস্থায় নিজেকে সুখী মনে হবে। এটাই আত্মতুষ্টি। আত্মতুষ্টি থাকলে মানুষ কখনো হতাশায় ভোগে না।

২. অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, যে তোমার চেয়ে অবস্থাসম্পন্ন ( ধনী) তার দিকে তাকিও না, বরং যে তোমার চেয়ে কম অবস্থাসম্পন্ন ( গরিব) তার দিকে তাকাও। (মুসলিম : ২৯৬৩)। এ হাদিস থেকে শিক্ষা হলো, উপরে না তাকিয়ে নিচে তাকানো অর্থাৎ, যে ব্যক্তি অর্থ-সম্পদে, সৌন্দর্যে নিজের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে, তার সৌন্দর্য ও অর্থের আধিক্যতার প্রতি না তাকানো।

কারণ এসব নিয়ে ভাবলে নিজেকে তুচ্ছ মনে হবে। না পাওয়ার আফসোসে কষ্ট হবে। তাই নিজের চেয়ে যে দুর্বল, গরিব, কুৎসিত তার দিকে তাকিয়ে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করা এ ভেবে যে, আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন, তাহলে মনে কখনো অসৎ চিন্তা আসবে না। অবৈধ পথে অবলম্বন করে হলেও সম্পদ গড়ে তোলার নিকৃষ্ট চিন্তা মনে স্থান পাবে না। তখন সমাজ হবে শান্তিময়। পাপমুক্ত।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের চিন্তা না থাকলে মন পবিত্র থাকে। রিজিক হালাল থাকে। হালাল রিজিকের বড় উপকারিতা হলো, দোয়া কবুল হওয়া ও নেক সন্তান লাভ করা। নেক আমল করার তৌফিক পাওয়া। হালাল খেতে হলে সবরের পরীক্ষা দিতে হয়। হারাম আয়েশ উপবোগ করার মানসিকতা বর্জন করতে হয়। আল্লাহতায়ালা রাসুলদের হালাল খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুলগণ! আপনারা হালাল খাদ্য গ্রহণ করুন- আর নেক আমল করুন। (সুরা : মোমেনুন : ৫১, সূত্র মিরকাতুল মাফাতিহ : ৬/৪-৫)।

গ্রন্থনা : দিদার শফিক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত