বিচলিত এক লোক হঠাৎ ঢুকে পড়ল পথের ধারে এক বাড়িতে। তার চোখেমুখে আতঙ্ক। কাঁপছে, মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছে না। বাড়িওয়ালা দেখে ভড়কে গেল। কী হলো, কোত্থেকে এলো, মর্জি কী? বাড়িতে হানা দেয়ার কোনো কৌশল নাকি? কিন্তু এমন ভদ্র্র বুড়ো লোক সম্পর্কে এরূপ ধারণা অমূলক। লোকটিকে সান্ত¡না দেয়ার সুরে তিনি বললেন, কী হয়েছে, কাঁপছেন কেন? এমন দিশাহারা পেরেশান কেন? বসেন, কথা বলেন, কী দেখেছেন,
ওয়াকেআ চোন আস্ত চোন বগুরীখতি
রঙ্গে রোখসারে চুনীন চোন রীখতি
কী হয়েছে বলেন, কেন এভাবে পালাচ্ছেন?
চেহারার রঙ এভাবে হলুদাভ কেন করলেন?
লোকটি বলল, জানেন কি? দেশে যে স্বৈরশাসক সবকিছুর দণ্ডমুণ্ডের মালিক হয়ে বসে আছে, জনগণের উপর জুলুম নির্যাতনের স্টীমরোলার চালাচ্ছে, আজকে তার লোকেরা যানবাহন আটক করছে। এই রিকুইজেশন হতে রেহাই পাচ্ছে না গণপরিবহন গাধা। বাড়িওয়ালা এতক্ষণে বুঝতে পারল। বলল, মামা! কই গাধা? আপনি তো গাধা নন। আপনাকে তো ওরা ধরবে না। আপনি কেন এত বিচলিত? গাধা ধরা হচ্ছে তাতে আপনি কেন ভীত? পলাতক লোকটি বলল, আপনার কথা ঠিক আছে। তবে সরকারের বিশেষ বাহিনীর তো কোনো বাছবিচার নেই। ওরা যদি গাধার পরিবর্তে আমাকেই ধরে ফেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দেশটা তো এভাবেই চলছে। সরকারের লোকেরা এমন বেপরোয়া, জনগণের ভাগ্য নিয়ে এমনভাবে ছিনিমিনি খেলছে, তাতে কোনটা গাধা কোনটা মানুষ, সেই বোধটুকু তাদের নেই।
চোনকে বী তাময়ীযিয়ান মান সারওরান্দ
সাহেবে খর রা বে জা’য়ে খর বারান্দ
বেয়াদবরা যেহেতু আমাদের শাসক হয়ে বসেছে
গাধার পরিবর্তে গাধার মালিক ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
দেশটা মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা দখল করেছে কতক বেতমীয বেয়াদব। এরা মূর্খ। মূর্খতার কারণে কোনটা গাধা কোনটা মানুষ ফারাক করার বোধটুকু নেই। এরা অহঙ্কারী, দাম্ভিক, মানুষকে মানুষ মনে করে না। তাদের কাছে মূর্খ দুর্নীতিবাজরা সম্মানিত। জ্ঞানীমহল আলেমদের মুখে লাগাম দিয়েছে। সত্যকথাটি বলার সাহস পরিবেশ দেশে নেই।
জনগণের ভাগ্যের উপর চাপিয়ে বসা জালিম বাদশাহর স্বরূপ উন্মোচন করতে হিয়ে মওলানার মনে পড়ে গেল আরেকজন বাদশাহর কথা। অমনি তিনি উড়াল দিলেন আকাশে। একেবারে ঊর্ধ্বলোকে, যেখানে আছেন মহামহিম শাহানশাহ।
নীস্ত শাহে শহরে মা বীহুদা গীর
হাস্ত তাময়ীযাশ সমী আস্তো বসীর
অনর্থক ধরেন না আমাদের শহরের বাদশাহ
বাছবিচার আছে তার সর্বদর্শী ও সর্বশ্রোতা।
আমাদের শহরে যিনি রাজত্ব করেন, এই জগতের প্রকৃত রাজত্ব যার হাতে তার পরিচয় নাও। তিনি অনর্থক কারও হয়রানি করেন না। নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেন না। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করেন না। সবার সবকিছুর চূড়ান্ত ক্ষমতা তার হাতে। তার কাছে ন্যায়-অন্যায়ের বাছবিচার আছে। তিনি সর্বশ্রোতা। সবার সবকিছু দেখছেন। জগৎ-সংসারকে তিনি বৈচিত্রে সাজিয়েছেন। উদ্দেশ্য হলো, ভালো থেকে মন্দকে পৃথক করা। তারপর শেষ পরিণাম হবে,
‘তা এ জন্য যে, আল্লাহ অসৎলোককে সৎলোক থেকে পৃথক করবেন এবং অসৎ লোকদের এককে অপরের উপর রাখবেন, অতঃপর সবাইকে স্তূপীকৃত করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। এরাই হলো ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আনফাল : ৩৭)।
আদমী বা’শ ও যে খরগীরা’ন মাতার্স
খ’র নয়ী আই ঈসায়ে দাওরান মাতার্স
মানুষ হও গাধাধরাদের ভয় পেয়ো না
তুমি গাধা নও, হে যুগের ঈসা! ভয় পেয়ো না।
তুমি মানুষ হওয়ার চেষ্টা কর। যদি প্রকৃত মানুষ হতে পার, নফসকে যদি রুহের অনুগত করতে পার তাহলে তুমি এ যুগের ঈসা। অর্থাৎ দুনিয়াবী আকর্ষণ ও লোভ-লালসার বন্ধন হতে মুক্ত। তোমার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গাধার স্বভাব তোমার মাঝে নাই, তাই পরিস্থিতির সকল প্রতিকূলতা ডিঙে তুমি সত্যের উপর অবিচল থাকতে পারবে। যদি নিজেকে সেই স্তরে উন্নীত করতে চাও, তাহলে জেনে রাখ যে,
নর্দবা’নহা’য়ী স্ত পেনহা’ন দর জাহা’ন
পা’য়ে পা’য়ে তা’ আনা’নে আ’সেমা’ন
এই দুনিয়ায় সিঁড়ির বহু ধাপ আছে সংগোপনে
পায়ে পায়ে এই সিঁড়ি চলে গেছে ঊর্ধ্বে আসমানে।
এই বয়েতের ব্যাখ্যা আছে মওলানার আরেকটি গদ্য কিতাবে। ‘(তাকে পাওয়ার পথ) যদিও ভিন্ন ভিন্ন হয়; কিন্তু মকসুদ (লক্ষ্যস্থল) এক। তুমি কি দেখ না যে, কাবাঘরে যাওয়ার পথ ভিন্ন ভিন্ন আছে। কারও জন্য রোম থেকে যাওয়ার পথ আছে। কারও পথ সিরিয়ার দিক হতে। কেউ যায় আজম (ইরান) হতে। কেই চীনদেশ হতে। কারও পথ সাগরপথে। কারও পথ হিন্দুস্তান ও ইয়ামেন থেকে। কাজেই যদি পথগুলোকে বিবেচনায় নাও বিশাল তফাৎ ও দূরত্ব তোমার নজরে আসবে। কিন্তু যদি মকসুদকে বিবেচনায় নাও দেখবে সবাই এক, একই লক্ষ্যমুখী। (ফীহে মা ফীহে, পৃ.৯৭)।
কাবাঘরে পৌঁছার ‘পথগুলো’ অবশ্যই কাবার মালিকের অনুমোদন পেয়েছে এমন হতে হবে। কেউ যদি এমন পথ ধরে অগ্রসর হয় যা কাবার দিকে যায়নি, কিংবা মাঝখানে বিচ্ছিন্ন বা কাবার অভিমুখে না গিয়ে ভিন্ন পথে চলে গেছে, সেই পথ ধরে রওনা দিলে মুসাফির অবশ্যই পথ হারাবে। আল্লাহকে পাওয়ার সঠিক পথ তাই, যা আল্লাহ অনুমোদন দিয়েছেন। বৌদ্ধ ধর্ম তো আল্লাহর অস্তিত্বেই বিশ্বাসী নয়, অথব আল্লাহ সম্পর্কে নীরব। শুধু আপনার মাঝে আপন সত্তাকে আবিষ্কার করার কথা বলে। হিন্দু ধর্ম তো দাবি করে না, এই ধর্ম আল্লাহর পক্ষ হতে কোনও মনীষীর আনীত বলে। ইহুদি খ্রিষ্টানরাও নিজেদের ধর্মকে মনগড়া জগাখিচুড়িতে পরিণত করেছেন। এমতাবস্থায় আল্লাহকে পাওয়ার সহজ সরল পথ সিরাতুল মুস্তাকিম কোনটি? আল্লাহ পাক বলেন, ‘নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন। যাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল তারা পরস্পর বিদ্বেষবশত তাদের নিকট জ্ঞান আসার পর মতানৈক্য ঘটিয়েছিল। আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করলে আল্লাহ তো হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৯)।
তিনি অন্য আয়াতে বলেন, ‘কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনও কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ কীভাবে সৎপথে পরিচালিত করবেন সেই সম্প্রদায়কে, যারা ঈমান আনার পর, রাসুলকে সত্য বলে সাক্ষ্যদান করার পর এবং তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর কুফরি করে? আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৯)।
হার গুরুহ রা নর্দবা’নি দীগর আস্ত
হার রবিশ রা আ’সেমানী দীগর আস্ত
প্রত্যেক দলের জন্য আছে সিঁড়ি পৃথক পৃথক
যে কোনও তরিকার জন্য আছে আসমান পৃথক।
এই পথ ইসলামের গণ্ডির ভেতরের। মহাসড়কের সাথে যেমন অনেক শাখাসড়ক, পথঘাট মিলিত হয়। যেপথ ধরে লোকেরা মহাসড়কে ওঠে দূর দেশ সফর করে। সিরাতুল মুস্তাকিমের মহাসড়কে পৌঁছার জন্যও অনেক শাখা প্রশাখা পথ আছে। এই পথ চলার আধ্যাত্মিক সাধনায় একেকজন একেক স্তরে থাকে। তবে আল্লাহর সান্নিধ্যের কাছে গেলে সব পথ এক জায়গায় মিলে গেছে। যাত্রাপথে একজনের খবর আরেকজনের থাকে না। কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, ‘আর যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম (সাধনা) করে তাদের অবশ্যই আমার পথসমূহে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন।’ (সুরা আনকাবূত : ৬৯)।
আয়াতে বলা হয়েছে, ‘পথসমূহে’। মানে অনেক পথ আছে। বয়েতের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাকে জাগতিক ব্যাখ্যায় আমরা সম্প্রসারিত করতে পারি। পৃথিবীর বাস্তবতা হলো, আমরা বিভিন্ন দল, তরিকা, সম্প্রদায়ে বিভক্ত। অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন পথ ও পন্থায় আল্লাহর পথে সাধনা করছি। কিন্তু সবার পথ যে লক্ষ্যে গিয়ে শেষ হয়েছে তা হলো আল্লাহ, আল্লাহর দ্বীন। আমরা বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়ি। যেহেতু আল্লাহর ইবাদতই আসল লক্ষ্য, তাই মুসল্লিদের মাঝে কোনো বিরোধ, ভিন্নতা নেই। যেখানে স্বার্থচিন্তা প্রবল হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্য থেকে দৃষ্টি বিচ্যুত হয়, সেখানেই বিরোধ দেখা দেয়। ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করে; তবে পরীক্ষা দেয় এক বোর্ডের অধীনে। কাজেই সবাই এক।
মওলানা রুমি (রহ.)-এর এই দর্শনের মাঝে নিহিত আছে মুসলিম সমাজে সাম্য ও সম্প্রীতির বীজ। যারা নিজেদেরকে একমাত্র হকপন্থি অন্যরা বাতিল বলার বাতিকে আক্রান্ত তাদের জন্য হেদায়াতের আলোকবর্তিকা রয়েছে এই জীবন দর্শনে। তিনি আরো বলেন,
সাহনে আর্দুল্লাহে ওয়াসে‘ আমাদে
হার দেরাখতী আয যমীনী সারযাদে
আল্লাহর জমিন প্রশস্ত- এই ঘোষণা এসেছে
প্রতিটি গাছ একেক জমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
কোরআন মাজিদের একাধিক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর জমিন প্রশস্ত।’ (সুরা নিাসা : ৯৭ ; সুরা আনকাবুত : ৫৬ ও সুরা যুমার : ১০)। মওলানা রুমি (রহ.)-এর দৃষ্টিতে আল্লাহর জমি বলতে গোটা অস্তিত্ব জগৎ। এখানে বিভিন্ন সৃষ্টি ভিন্ন ভিন্ন গাছের মতো। একই গাছ ভিন্ন ভিন্ন জমিনে লাগালে স্বাদ হয় ভিন্ন ভিন্ন। মরহুম অধ্যক্ষ এ এ রেজাউল করিম চৌধুরীর কথা মনে পড়ে। চট্টগ্রামের একজন প্রথিতযশা পণ্ডিত ছিলেন তিনি। এক মজলিসে উদ্ভুত এক বিতর্কের সমাধানে মাইক্রোফোনের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, মদিনা শরিফে খেজুর গাছ আছে, সেই গাছে ফল ধরে, দামি খেজুর। আমাদের দেশেও খেজুর গাছ আছে, এখানকার খেজুর গাছ মদিনার মতো নয়। এখানে ফল ধরে না, রস পাওয়া যায়। কাজেই মদিনার ইসলাম এখানে আসার পর একটু ব্যতিক্রম মনে হবেই। মেনে নিতে পারলেই শান্তি আসবে।
সৃষ্টিলোকের বৈচিত্র্যের মাঝেই আমাদের সন্ধান করতে হবে মহাবিশ্বের ঐকতান। বাগানে হরেক রকম ফুল থাকে। যদি সব ফুল গোলাপ হত, গোলাপের মর্যাদা নির্ণয় করা কঠিন হত। বাগানে সৌন্দর্যের বাহার আসত না। কাজেই ভালো-মন্দ মিলিয়ে এই জগৎ-সংসারের সবকিছুই সুন্দর। এখানে ভালো ও মন্দ, সৎ ও অসৎদের পরস্পর থেকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করাই আল্লাহতায়ালার অভিপ্রায়। সৃষ্টিরহস্যের এই তত্ত্ব যারা হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছে, তারা বলে, ‘হে আমাদের প্রভু! তুমি কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করোনি।’ (সুরা আলে ইমরান : ৬৯)।
আল্লাহর এই গুণগান শুধু মানুষ জিনপরি প্রাণীরা করে না; বরং গাছের পাতাপত্রও অবিরত তসবিহ পাঠ করে।
বর দেরাখতান শোকর গূয়ান বর্গো শা’খ
কে যেহী মুলক ও যেহী আরচেয়ে ফরা’খ
পাতাপত্তর শাখারা শোকর গায় গাছের ডালে
কী সুন্দর এই দেশ কত প্রসারিত জগৎ বলে।
বুলবুলান গের্দে শেকূফে পুর গেরেহ
কে আয আ’ঞ্ছে মী খুরি মা’ রা’ বেদেহ
ফুলের শাখে দোলে বুলবুল পাঁপড়ির বুকে ঠোঁট চেপে
কী সুধা, কত মজা একা খেয়ো না, দাও আমায়, বলে।
জগৎ ও জীবনের প্রতি এই দৃষ্টিভঙ্গি মানব জাতির জন্য আলোকবর্তিকা। বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্যের সন্ধান করতে পারলেই জীবন সুখের হবে। আল্লাহর সৃষ্টিতে কোথাও কোনও খুঁত নেই। কাজেই আমি যেসব অসঙ্গতি দেখি, তা আমার দৃষ্টিভঙ্গির গলতি। দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারলেই জীবন বদলে যাবে। অনেক কিছুর রহস্য বোধগম্য হবে। তখন আল্লাহর অগণিত সৃষ্টির বৈচিত্র্যের পরতে সাজানো সৌন্দর্য আমরা উপভোগ করতে সক্ষম হব। (মওলানা রুমির মসনবি শরীফ, ৫খ. বয়েত-২৫৩৮-২৫৬৩)।
(ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী রচিত মসনবি শরিফের গল্প ১-৬ খণ্ড প্রকাশ করেছে ছায়াপথ প্রকাশনী, মসজিদ বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স, ১৪৯/এ, এয়ারপোর্ট রোড, ফার্মগেট, ঢাকা। ফোন ০১৭১১১১৫৮২৯। মসনবির গল্প ভিত্তিক আলোচনা শুনতে ইউটিউবে ভিজিট করুন- CHAYAPATH PROKASHONI)