ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গরমে শিশুর যত্নে করণীয়

গরমে শিশুর যত্নে করণীয়

কাঠফাটা রোদ কিংবা গ্রীষ্মের দাবদাহ, গরমের এই মৌসুমে প্রয়োজন শিশুর বাড়তি যত্ন। এ সময় ঘামাচি, খোচণ্ডপাচরা, চিকেন পক্সসহ শিশুদের ত্বকের বিভিন্ন রোগ, ডায়রিয়া, পানি শূন্যতা, জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ হতে দেখা যায়। শিশুরা কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায় এ সময়ে অবিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

শিশুর যত্নে করণীয়

১) শিশুকে প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস করাতে হবে এবং দিনে অন্তত দুইবার ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। ২) শরীরে ঘামাচি এড়াতে গোসল ও গা মুছে দেয়ার পর শিশুদের উপযোগী পাউডার ব্যবহার করবেন। ঘেমে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিবেন। পাউডার ব্যবহারের আগে অবশ্যই ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে নিতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগেও শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে পাউডার ব্যবহার করা উচিত। ৩) আরামদায়ক, ঢিলেঢালা, নরম, পাতলা সুতিকাপড় পরিধান করাবেন। ঘুমানোর সময় বিছানায় সুতি চাদর কিংবা কাঁথা ব্যবহার করবেন। নরম তোশক ও নরম বালিশ ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ শোয়ার সময় দেবে গেলে গরম ও অস্বস্তি আরো বেড়ে যেতে পারে। ৪) শিশুর শোবার ঘর খোলামেলা, আরামদায়ক ও ঠাণ্ডা হওয়া উচিত। ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যাবস্থা থাকা জরুরি। ঘরে ভেজা কাপড় শুকাতে দিতে পারেন, এতে ঘরের আদ্রতা বজায় থাকবে এবং ঘর ঠান্ডাও থাকবে। বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করতে পারেন। ৫) শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে কিছুক্ষণ পরপর শিশুদের পানি, তরল খাবার, ফলের রস ইত্যাদি দেয়া উচিত এবং জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় বাড়িতে খাবার স্যালাইন মজুত রাখতে হবে। যে সব শিশু বুকের দুধ খায়, তাদের ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ৬) গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়। তাই ডায়রিয়া, টায়ফয়েড এড়াতে শিশুদের প্রতিবার বিশুদ্ধ পানি ও টাটকা খাবার পরিবেশন করুন। হাত ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিন। গরমে শিশুদের বাইরের খাবার ও তৈলাক্ত ভারী খাবার না দেয়াই ভালো। ৭) গরমে মশা, মাছি, পিপড়া ইত্যাদির উপদ্রব বেড়ে যায়। এগুলো শিশুর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। তাই এগুলো থেকে শিশুকে রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। ৮) গরমে শিশুদের নিয়ে দূরের যাত্রা না করাই ভালো। স্থান ও পরিবেশ পরিবর্তনে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ৯) গরমে স্কুলগামী শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। রোদ থেকে সুরক্ষার জন্য ছাতা ব্যবহার করবে। পানি শূন্যতা রোধে ফ্লাস্কে পানি নেবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোধে পর্যাপ্ত টিফিন গ্রহণ করবে। গরমে ছাত্রীদের মাঝে হঠাৎ অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই পরিস্থিতি রোধে ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যাবস্থা থাকতে হবে। শরীরে পানি ও পুষ্টিমান বজায় রাখতে হবে। ১০) সর্বোপরি গরমে ডায়রিয়া, বমি, পানি শূন্যতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা যে কোনো অসুস্থতায় ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত