পড়ার অভ্যাস হলো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আর শিশুদের সফলতা অর্জন কিংবা মানসিক বিকাশে পড়ার অভ্যাস আরো গুরুত্বপূর্ণ। পড়ার অভ্যাস শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। এছাড়া তাদের মনোযোগী হতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। সাধারণত, পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে পরিবার থেকে এবং এটি অল্প বয়স থেকে শুরু হতে পারে। তাই শিশুর মধ্যে যেন পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে সেজন্য বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে এবং বই পড়তে উৎসাহ জোগাতে হবে। এখানে কিছু টিপস তুলে ধরা হলো।
পড়ার নির্দিষ্ট স্থান : পরিবারে শিশুর পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার সর্বোত্তম উপায়গুলোর একটি হলো পড়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থান তৈরি করা। যেখানে শিশু পছন্দ করবে- এমন আকর্ষণীয় পড়ার উপকরণ রাখতে হবে। একটি আরামদায়ক চেয়ার, ছোট টেবিল দিয়ে ওর জন্য পরিবেশটা অনুকূল করতে হবে। যেন প্রিয় বই পড়ার সময়টাকে সে নিজের মতো করে উপভোগ করতে পারে।
শিশুর সামনে পড়ুন : শিশুরা বড়দের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে এবং অনুসরণ করে। তাই যদি চান শিশুরা পড়ার প্রেমে পড়ুক, তাহলে তাদের সামনে বড়দেরও একই কাজ করতে হবে। সারা রাত টিভিতে প্রিয় সিরিজটি দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় না করে শিশুর সামনে আবেগ দিয়ে বই পড়ুন। এজন্য ম্যাগাজিন, বই বা অন্য কিছু পড়বেন কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো শিশুর মধ্যে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদের সামনে বড়দেরও কিছু না কিছু পড়তে হবে। তাহলে সে বুঝবে পড়া একটি অপরিহার্য একটি বিষয় এবং মজার জিনিস।
শিশুকে বাছাই করতে দিন : শিশু কী পড়তে বা ওর আগ্রহ কিসে সেটা ওকে বেছে নিতে দিন। হতে পারে সে রূপকথার গল্প বা কল্পকাহিনীর বই ছাড়াও অন্যান্য বইয়ের প্রতি আগ্রহী। সে রহস্য, বিজ্ঞান-কথাসাহিত্য বা যে কোনো ধরনের গল্পের বই পছন্দ করতে পারে। শিশুকে স্থানীয় লাইব্রেরি বা নিকটবর্তী বইয়ের দোকানে নিয়ে যান। সেখানে সে কী পড়তে চায় তা স্বাধীনভাবে বাছাই করতে দিন, যা ওর আগ্রহকেও বাড়াবে।
প্রতিদিনের জীবনে পড়া অন্তর্ভুক্ত করুন : পড়া মানে শুধু বই নিয়ে বসে থাকা বা ভালো বইতে মগ্ন থাকা নয়। পড়া এমন একটি বিষয় যা প্রতিদিনের জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।