সফল ব্যক্তিদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো আত্মবিশ্বাস। বিখ্যাত ব্যক্তিরা সবসময় তাদের কাজ নিয়ে শতভাগ কনফিডেন্ট থাকে। আর এই বৈশিষ্ট্য কিন্তু ছেলেবেলা থেকেই রপ্ত করতে হয়।
অর্থাৎ, সন্তানের মনে আত্মবিশ্বাসের বীজ রোপণ করার দায়িত্ব বাবা-মায়েরই। সমস্যা হলো, বেশিরভাগ মা-বাবাই বিষয়টি বুঝতে পারেন না যে, তাদের সন্তানের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। উল্টো সন্তানের ব্যর্থতার জন্য আরো বেশি বকাঝকা করেন। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সন্তানের সাফল্য চাইলে অকারণে বকাঝকা করার বদভ্যাসটা বদলে ফেলুন। বরং কীভাবে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দিন। চলুন এমন কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নিই-
পাশে থাকাই জরুরি: সাফল্য আর ব্যর্থতা দুটোই জীবনের অঙ্গ। এই দুই সময়েই বাবা-মাকে পাশে থাকতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে যে ভয়ের কিছু নেই। আমরা সবসময় তোমার পাশে আছি।
এই কথাটুকু সন্তান বিশ্বাস করতে পারলেই বেড়ে যাবে তার আত্মবিশ্বাস। তাই, সবসময় সন্তানের ভরসা হওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রশংসা করতে ভুলবেন না: অনেক মা-বাবাই সন্তানের প্রশংসা করতে চান না। শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করতে চাইলে সুযোগ পেলেই তার প্রশংসা করুন। ছোট ছোট অর্জনেই আনন্দ প্রকাশ করুন।
ধরুন সে খেলার পর খেলনাগুলো গুছিয়ে রাখল কিংবা পড়ার টেবিল নিজে গোছানোর চেষ্টা করল। এই কাজগুলোরও প্রশংসা করুন। ি
শশু যদি কোনো ভুল করে, তবে বকা না দিয়ে তাকে বিষয়টির খারাপ দিক সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। এতে সে নিজের ভুল বুঝতে পারবে। একইসঙ্গে বাড়বে তার আত্মবিশ্বাসও।
বন্ধুত্ব করুন: সন্তানের ভালো চাইলে তার সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে ফেলুন। তার সঙ্গে যত দ্রুত বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়বেন, ততই মঙ্গল। এতে সে তার সমস্যার কথা সহজেই আপনার কাছে প্রকাশ করবে।
শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এটি জরুরি। শিশুর সঙ্গে রাগ না দেখিয়ে তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তার পছন্দের দাম দিন। মা-বাবার কিছু অভ্যাসই শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।