শিশুদের বেড়ে ওঠা অঞ্চল, গোষ্ঠী ও পরিবার ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। একটি একক পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা ও একটি যৌথ পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠায় মধ্যে তফাৎ থাকে।
শিশুর বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কি-না, তা জানতে হবে নিয়মিত।
কারণ, ঠিকঠাক বৃদ্ধি না ঘটলে পিছিয়ে পড়বে শিশু। পাশাপাশি শিশুর বাড়তি শক্তির প্রয়োজন মেটাতে পরিবারের স্বাভাবিক খাবারে অল্প পরিমাণে ঘি, সয়াবিন তেল, নারকেল তেল, বাদাম তেল অথবা বাদামের গুঁড়া মেশানো যেতে পারে, তাতে খাবার সমৃদ্ধ হয়। শিশু সঠিক নিয়মে বেড়ে উঠছে কি না জানতে হলে নিয়মিত শিশুর ওজন, উচ্চতা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া সর্বজনস্বীকৃত গ্রোথ চার্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। এতে বয়স অনুযায়ী ওজন, উচ্চতা, মাথার পরিধি গ্রাফের সাহায্যে বানানো থাকে। ছেলে ও মেয়ে শিশুর জন্য আলাদা চার্ট আছে, যা দিয়ে সহজেই শিশুর বৃদ্ধি মাপা যায়।
শিশু ভূমিষ্ঠের পর প্রথম সপ্তাহে ওজন কমে এবং ২ থেকে ৩ সপ্তাহে ওজন স্থির থাকে।
এরপর ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। প্রথম ৩ মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। পরবর্তী মাসগুলোতে আরেকটু কম হারে ওজন বাড়তে থাকে, ৩-১২ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ৪০ গ্রাম ওজন বাড়ে। ৬ মাস বয়সে শিশুর ওজন জন্মের সময়ের ওজনের দ্বিগুণ হয়, ১ বছরে ৩ গুণ, ২ বছরে ৪ গুণ, ৩ বছরে ৫ গুণ, ৫ বছরে ৬ গুণ হয়। সঠিক পরিচর্যা ও পুষ্টি তাই শিশুর জন্য জরুরি।
এ কারণে ওজন ও উচ্চতা নিয়মিত নেওয়া উচিত, তাহলে সহজেই বোঝা যায় শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঠিকভাবে হচ্ছে কি না। আবার যদি যথেষ্ট পরিমাণে উপযুক্ত খাবার দেওয়ার পরও তার ওজন না বাড়ে, তবে দেখতে হবে সেই খাবার পুষ্টিকর কি না।