রান্না অনেকের কাছে শখ। আবার অনেকের জন্য তা নিত্যদিনের প্রয়োজন। দৃষ্টিভঙ্গি যেমনই হোক না কেন, রান্নার ক্ষেত্রে সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় রান্নায় বেশি সময় ব্যয় হয়। এই সময় অপচয় ঠেকাতে পারলে আপনারই সুবিধা। যদি রান্নাঘরে সময়ের অপচয় ঠেকাতে চান, তাহলে কয়েকটি পন্থা অনুসরণ করতে পারেন।
তালিকা করে নিন : গোটা সপ্তাহের একটা পরিকল্পনা করে নেয়ার অভ্যাস পশ্চিমা বিশ্বে থাকলেও আমাদের এখানে এই অভ্যাস এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে পুরো সপ্তাহে যদি একটা পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে সারা সপ্তাহে কি মশলা লাগবে, কী কী উপাদান হাতের কাছেই রাখতে হবে, তার দিকেও খোঁজ নেয়ার অভ্যাস গড়বে। এতে রান্নার সময় কোনো উপাদান না পেলে আবার সেটার জন্য বাজারে দৌড়াতে হবে না।
বাজারে গেলে কয়েক রকম সবজি কিনুন : রান্নার ক্ষেত্রে নির্ধারিত সবজি না কিনে কয়েক রকম সবজি কিনুন। তাহলে আপনার হাতে অপশন থাকবে। কোনো উপাদানের জন্য এক সবজি দিয়ে নির্দিষ্ট পদ রান্না করতে না পারলে অন্য সবজি দিয়ে অন্য পদ রান্না করে ফেলুন।
তৈজস গুছিয়ে রাখুন : রান্নার আগের দিন প্রয়োজনীয় বাটি, হাঁড়ি, পাতিল, চামচ সব গুছিয়ে রাখুন। তাহলে রান্নার সময় তাড়াহুড়ো কম হবে।
ফ্রিজ ভারি করবেন না : সপ্তাহ শেষে ফ্রিজ থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিতে হবে। ফ্রিজ পরিষ্কার করার সময় অনেক যন্ত্রণা বাড়ে। কিন্তু আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বের করে ফেলে দেন তাহলে ফ্রিজের পরিবেশ ভালো থাকে।
ছুটির দিনে মশলা বাটুন : যদি রান্নার জন্য মশলা প্রয়োজন হয়, তাহলে ছুটির দিনে তা সপ্তাহব্যাপী ব্যবহারের জন্য বেটে ফেলুন। আর যদি একান্তই সময় না হয় তাহলে বাজারে পেস্ট করা মশলা নিতে পারেন। যদিও ঘরে বেটে নেয়াটাই ভালো।
হাইজিন মানুন : সপ্তাহ শেষে হাইজিন অনুসরণ করুন। রান্নাঘরে কোনাকাটা পরিষ্কার করলে দেখবেন রান্নাঘরে বাড়তি হ্যাপো নেই। এগুলোও কিন্তু রান্নাঘরে রান্নার পরিবেশ এবং পরবর্তীতে পরিষ্কারের সুবিধা বাড়ায়।