বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

শিশুর সঠিক শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবার দিতে হবে। শিশুর বয়স ছয় মাস হওয়ার পর মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হয়। কিন্তু কোন বয়সে শিশুকে কখন কতটুকু খাবার দিতে হবে, এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা অনেকের মধ্যেই কম। বেশির ভাগ মা মনে করেন, শিশুকে বেশি বেশি খাবার খাওয়ালে তাদের বৃদ্ধি ও বিকাশ দ্রুত হবে। কিন্তু নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়ালে অনেক সময়ই খাবার খাওয়ার উপকারিতা থেকে শিশুরা বঞ্চিত হতে পারে। এছাড়া একেক বয়সি শিশুদের একেক পরিমাপের খাবার দেওয়া প্রয়োজন। তাই শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য নিয়ম মেনে পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের খাবার খাওয়াতে সাধারণত তেমন কোনো বেগ পোহাতে হয় না। কেননা এই বয়সি শিশুরা কথা বলতে শিখে যায়। খাবারদাবারসহ যেকোনো বিষয়ে তাদের ভালো-মন্দ মতামত প্রকাশ করতে পারে। কোন খাবার সে খেতে পারছে, কোনটা খেতে পছন্দ নয়, পেট ভরল কি না কিংবা খিদে পাওয়ার বিষয়গুলো তারা নিজ থেকেই বলতে পারে। আবার কোনো কিছু বুঝিয়ে বললেও সেটি বুঝতে পারে। এজন্য এই বয়সি শিশুদের খাবারে শুধু পুষ্টিগুণ আর পরিমাণের দিকে মনোযোগ রাখতে হবে অভিভাবকদের। ছয় থেকে ১২ বছর বয়সিদের খাবারে সবচেয়ে বেশি দরকার প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট। ভাত, রুটি, নুডলস, আলুজাতীয় খাবারে কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। এগুলোর যেকোনো একটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকলেই কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণ হবে। তবে অনেক শিশুই এই বয়সে প্রোটিনের অভাবে ভোগে। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারলে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে, লম্বা হবে। স্বাস্থ্য সুস্থ ও সুন্দর হবে। মাছ, মাংস, সয়াবিন, বিভিন্ন ডাল বা দানাজাতীয় খাবার ও শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান পাওয়া যায়। তাই শিশুর প্রতিদিনের খাবারে এজাতীয় খাদ্য থেকে যেকোনো একটি রাখলেই হবে। শিশু বেশি চঞ্চল হলে সাধারণত তাদের খিদে বেশি পায়। এজন্য বাড়তি ক্যালরি জোগাতে প্রতিদিন একটি করে ডিম সিদ্ধ করে খাওয়াতে হবে। শিশু যদি হজম করতে পারে, তবে প্রতিদিন দুটি ডিম খেতে দেওয়া যেতে পারে।

৫ বছরের আগ পর্যন্ত শিশুদের শরীরে একটু বেশি ফ্যাটের প্রয়োজন হয়। তবে ৫ পেরিয়ে গেলে বেশি ফ্যাটের প্রয়োজন হয় না। সামান্য ফ্যাটের চাহিদা পূরণ হলেই যথেষ্ট। এজন্য শিশুর খাবারে ঘি, মাখন, তেল ব্যবহার করতে হবে। শিশুর খাবার রান্নায় অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়াতে হবে।