মা হওয়ার যাত্রা মোটেই সহজ নয়। এ সময় অনেককিছু মেনে চলতে হয়। নিজের শরীরের দিকে রাখতে হয় সর্বোচ্চ খেয়াল। নিজেকে ও অনাগত সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য হবু মাকে অনেক ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়। বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় প্রতিদিনের খাবার ও কাজের দিকে। হবু মায়েদের সুস্থতার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
সুষম খাদ্য খান: হবু মায়েদের জন্য পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। তাদের পাতে রাখতে হবে দানা শস্য, ফলমূল, শাকসবজি ও দুগ্ধজাত খাবারের মতো পুষ্টিকর খাবার। এ সময় বাইরের খাবার বাদ দিয়ে ঘরে তৈরি খাবার খেতে হবে। যেসব খাবারে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে সেগুলো খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে যাতে শরীরে ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি না হয়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: অনেকে মনে করেন, গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা যায় না। এটি একেবারেই ভুল ধারণা। গর্ভাবস্থায়ও ব্যায়াম করা জরুরি। এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। গর্ভকালীন উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ব্যায়াম। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, মেজাজ শান্ত করে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে গর্ভাবস্থার উপযোগী ব্যায়াম করতে হবে। কারণ এই সময়ে সাধারণ কিছু ব্যায়াম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: নারী যখন গর্ভধারণ করে, তখন থেকেই তার শরীরে নানা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সেখান থেকে ক্লান্তি দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ সময় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। রাতে ৭-৯ ঘণ্টা এবং প্রয়োজনে দিনের বেলাও ঘুমাতে হবে। বিছানা ও বালিশ যেন আরামদায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত চেকআপ করুন: হবু মা এবং অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিশ্চিত থাকার জন্য নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। সন্তানের বিকাশের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য নিয়মিত আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সম্ভাব্য জটিলতা পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনীয় টিকা নিন। কোনো ধরনের সমস্যা অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন। স্ট্রেস কমাতে হবে: অনেকে গর্ভাবস্থায় মানসিকভাবে চাপ অনুভব করেন। এ সময় মানসিক চাপ বা স্ট্রেস দূর করার জন্য কাজ করতে হবে। প্রার্থনা, মেডিটেশন, শখের কাজ করার অভ্যাস আপনার মানসিক চাপ কমাতে কাজ করবে। এমন কাজ করুন যাতে আপনার মন ভালো থাকে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান, বই পড়ুন, গাছ লাগান, ধারে-কাছে কোথাও ঘুরে আসুন। এতে স্ট্রেস অনেকটাই দূর হবে।