বাচ্চাকে খাওয়ানো বেশ ঝামেলার কাজ। গল্প বলে, খেলনা দিয়ে, কার্টুন দেখিয়ে তবে হয়তো একটু খাবার মুখে তোলে।
তবে ভাত, রুটি যদিও বা ভুলিয়ে খাওয়ানো যায়, দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কোনোভাবেই তা সম্ভব হয় না। অথচ সঠিক শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য দুধ খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। দুধ না খেলে মজবুত হবে না হাড়। দুধ হলো ক্যালশিয়ামের সবচেয়ে বড় উৎস। হাড় ও দাঁত মজবুত রাখার মূল উপাদান হলো এই ক্যালশিয়াম। এ ছাড়াও পেশি সচল রাখা, স্নায়ুতন্ত্রকে কার্যকর রাখতেও ক্যালশিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। সব মিলিয়ে দুধের গুণাগুণ অনেক।
কিন্তু দুধ না খেলে শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম পাবে না, তা কিন্তু নয়! দুধ ছাড়াও এমন কয়েক ধরনের খাবার আছে, যাতে ক্যালশিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব মেটাতে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই খেতে পারেন এই সব খাবার। জেনে নিন কোনো কোনো খাবার ক্যালশিয়ামে ভরপুর। পনির : পনিরে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন।
সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। নিয়মিত পনির খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। দাঁত এবং হাড়ের গঠন মজবুত হয়। তা ছাড়া, এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম হার্ট ভালো রাখে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে এই দুগ্ধজাত খাবারটি। আমন্ড : সকালে উঠে খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিনে ভরপুর এই বাদাম। প্রতিদিন এক মুঠো আমন্ড খাওয়া আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটায়, হাড় মজবুত রাখে, পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই : দই ক্যালশিয়ামের ভালো উৎস। প্রতিদিন দই খেলে শরীরে দৈনিক ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়, হাড় মজবুত থাকে এবং ভালো হজমেও সাহায্য করে।
সয়া দুধ : ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণে সয়া দুধ দুর্দান্ত বিকল্প। এতে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন এবং ফাইবার। সয়া দুধ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বৃদ্ধি করে। যাদের ল্যাকটোজ-ইনটলারেন্স আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী এই দুধ। সবুজ শাকসবজি : বর্তমানে বাজারে পালং শাকের মতো সবুজ শাকসবজি পুষ্টির পাওয়ার উৎস।