ঢাকা ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গর্ভাবস্থায় যে পাঁচ খাবার অবশ্যই খাবেন

গর্ভাবস্থায় যে পাঁচ খাবার অবশ্যই খাবেন

গর্ভকালে একজন নারীর খুবই সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, এই সময় ওই নারীর শরীরের মধ্যে নতুন এক প্রাণ বেড়ে উঠছে। আর এই নতুন প্রাণ কিন্তু শরীর থেকেই পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করছে। হবু মা যাই খাচ্ছেন, গর্ভের শিশুও তাই খাচ্ছে। সুতরাং এই সময়ে সন্তানসম্ভবা নারীর ডায়েট নিয়ে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। তবেই কিন্তু মা এবং বাচ্চার শরীর ঠিক থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় ভাবী মায়ের রোজের ডায়েটে এমন খাবার রাখা উচিত যা ভ্রুণের বিকাশে সাহায্য করবে। তবেই কিন্তু একটা ‘হেলদি বেবি’-এর মা হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। এখন প্রশ্ন হলো, এই উপকারী খাবারের তালিকা আমাদের চেনাজানা কোন কোন খাবার রয়েছে, তা জানেন কি? জানুন গর্ভকালে কোন পাঁচটি খাবার অবশ্যই খাবেন।

ডেইরি প্রোডাক্ট অবশ্যই খেতে হবে : প্রেগন্যান্সির সময় দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি অন্যান্য খাবার যেমন- দই, ছানা ও পনির নিয়মিত খেতেই হবে। আসলে এই ধরনের খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান কিন্তু ভ্রুণের বৃদ্ধির জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়া মায়ের শরীরেও প্রোটিন ও অন্যান্য জরুরি খনিজের ঘাটতি মেটাতে পারে ডেইয়ারি প্রোডাক্ট। তাই রোজ নিয়ম করে দুধ নয়তো দুগ্ধজাত কোনো না কোনো খাবার খেতেই হবে।

ডিমের বিকল্প নেই : সস্তায় পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ডিমের বিকল্প খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই সব মহলেই ডিমের এত কদর। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, ডিমে রয়েছে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন। সেই সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডিসহ একাধিক জরুরি খনিজের ভান্ডার হলো ডিম। তাই শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে রোজ ডিম খাওয়া জরুরি। ডিমে মজুত থাকা উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন ভ্রুণের কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ডিম খেলে যে গর্ভের সন্তানের দ্রুত বৃদ্ধি হবে, তা বলাই বাহুল্য!

কলা খেতেই হবে : কলার মতো একটি উপকারী ফল গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনই খাওয়া উচিত। এই ফলে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬। আর এই সকল উপাদান; কিন্তু গর্ভের সন্তানের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকি এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভাবস্থায় একাধিক রোগকে দূরে রাখার কাজেও একাই একশ’। তাই রোজ একটা করে কলা খেতে ভুলবেন না যেন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ফল খাবেন। হঠাৎ করে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। মিষ্টি আলুর গুণেই ভ্রুণ থাকবে ‘হেলদি’ : মিষ্টি আলু হলো বেটা ক্যারোটিনের ভান্ডার। আর এই উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে যায়। আর এই ভিটামিন ভ্রুণের চোখের বিকাশ ও ইমিউনিটি গঠনে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নেয়। তাই গর্ভের সন্তানের ভালো চাইলে রোজ মিষ্টি আলুর তরকারি খেতেই হবে। আর মনে রাখবেন, মিষ্টি আলু কিন্তু তেমন একটা সুগার বাড়ায় না। তাই জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলারাও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এই সবজি খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ডাল খান : মসুর, মুগ, বিউলির মতো ডালে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের ভাণ্ডার। এমনকি এই সব খাবার নিয়মিত খেলে দেহে ফোলেট, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও মিটে যাবে। সেই কারণেই ডাল খেলে ভ্রুণের বিকাশ হবে স্বাভাবিক গতিতে। তাই নিজের ও গর্ভের সন্তানের স্বার্থেই রোজ ভাতের সঙ্গে ডাল রাখুন। আশা করছি, এইটুকু করতে পারলেই প্রেগন্যান্সির সময়টা অনায়াসে কাটিয়ে ফেলতে পারবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত