শিশুদের ত্বক খুবই কোমল অর্থাৎ সংবেদনশীল। আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে, দীর্ঘ সময় এয়ার কন্ডিশন ঘরে থাকার ফলে, আঁটসাট পোশাক পরা বা পানির অভাবে ডিহাইড্রেশনের কারণে শিশুদের ত্বক সঙ্গে সঙ্গে শুষ্ক হতে শুরু করে। সাধারণত শিশুদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যাকে গুরুতর রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তবে এর কারণে শিশুরা বিরক্তি বোধ করে ও অ্যালার্জির মতো সমস্যায় পড়তে শুরু করে। এর কারণে শিশুরও ফাটা ত্বক, ঠোঁট ফাটা, ত্বকে চুলকানির মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
শিশুকে হাইড্রেটেড রাখুন। শিশুকে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে বাঁচাতে তাকে পানিশূন্য হতে দেওয়া যাবে না। শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানির যত্ন নিন। পানির অভাব না থাকলে শিশুর ত্বক শুষ্ক হবে না। যদি শিশুর বয়স ৫ থেকে ৮ বছরের মধ্যে হয়, তাহলে তাকে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ কাপ পানি দিতে ভুলবেন না, ৯ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য, ৭ কাপ পানি এবং ১৩ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য, কমপক্ষে ৯ কাপ পানি খাওয়া উচিত।
শিশুদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে নিয়মিত বিরতিতে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি আপনার সন্তানের ত্বক থেকে শুষ্কতা দূর করবে। এর পাশাপাশি শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। পরিবর্তনশীল আবহাওয়া থেকে শিশুদের রক্ষা করুন। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় শিশুদের বিশেষ যত্ন নিন। গরম হোক বা ঠান্ডা, হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন শিশুর ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সেজন্য তাদের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ঋতুতে বিভিন্ন উপায়ে তাদের যত্ন নিন। শিশুকে হালকা গরম পানিতে গোসল করান। শিশুকে শুধু কুসুম গরম পানি পান করতে দিন। এর সাহায্যে শিশুর শরীরে পানির ভারসাম্য যেমন ঠিক থাকবে তেমনি তার ত্বকও ময়েশ্চারাইজড থাকে। অনেক সময় বাবা-মা শিশুকে বেশিক্ষণ পানিতে থাকতে দেন। এই অভ্যাস পরিহার করা উচিত। শিশুকে গোসল করাতে ন্যূনতম সময় দিতে হবে। কারণ এতে তাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে।