মানসিক চাপ জীবনের একটি অংশ। শিশুরাও এই চাপ থেকে বাদ যাচ্ছে না। স্কুল, পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের কারণে তাদের মধ্যে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। ছোট শিশুরা অনেক সময় বুঝতে পারে না কখন তারা চাপে থাকে। বাবা-মায়েদের উচিত সন্তানদের আচরণের পরিবর্তন খেয়াল করা এবং মানসিক চাপ কমাতে তাদের সহযোগিতা করা।
পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন: শিশুদের নিয়মিত ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। শিশুরা ঠিকমতো ঘুমাচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন। অনেক সময় ঘুমের অভাবে তার মধ্যে মানসিক চাপ দেখা যায়। মাঠে বা খোলা জায়গায় খেলার ব্যবস্থা করুন: আজকাল বেশিরভাগ শিশুর সময় কাটে মোবাইলে গেম দেখে। যত বেশি সে শারীরিক পরিশ্রম করবে ততই সে মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে। এ কারণে মাঠে, না হয় খোলা জায়গায় সে যেন খেলতে পারে সেই উদ্যোগ নিন।
একাকীত্ব দূর করুন: আজকাল বেশিরভাগ শিশু একা একা বেড়ে ওঠে। এ কারণে তার মধ্যে ঘরকুনো স্বভাব দেখা দেয়। তার সঙ্গে কথা বলুন, কীভাবে তার একাকীত্ব দূর করা যায় সে চেষ্টা করুন। সমবয়সিদের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ দিন: শিশুদের তার সমবয়সিদের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ করে দিতে হবে। যত সে তার বয়সিদের সঙ্গে মিশবে, গল্প করবে মানসিকভাবে সে ভালো থাকবে। গল্পের ছলে জানান মানসিক চাপ কেন হয়: মানসিক চাপ সম্পর্কে শিশুকে জানান। শিশু কোনো মানসিক চাপে থাকলে তা তার আচরণে প্রকাশ পাবে।
শিশুর মধ্যে এরকম আচরণ দেখা দিলে তার সঙ্গে গল্প করুন। কারণ বের করার চেষ্টা করুন। কীসে ভয় পাচ্ছে জানুন: হয়তো পড়াশোনার কোনো বিষয় নিয়ে শিশু ভয় পাচ্ছে, তা থেকে মানসিক চাপ বাড়ছে। শিশুকে ভালো নম্বর করার চাপ দেবেন না, বরং পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ তৈরি করুন।
আচরণে পরিবর্তন দেখা দিলে সতর্ক হোন: পড়াশোনা কিংবা বাবা-মা দূরে থাকার কারণে শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শিশুর বিশেষ খেয়াল রাখুন।
শিশুর সঙ্গে সময় কাটান: অনেকেই আছেন, ছেলেমেয়েকে পড়াশোনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে শিশুর ক্ষতি হয়। তার সঙ্গে খেলা করুন, সিনেমা দেখুন। এতে তার মানসিক চাপ অনেক কমবে।
শিশুর ভালো বন্ধু হয়ে উঠুন: শিশুর সঙ্গে বন্ধুর মতো মেলামেশা করুন। তার সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্ক তৈরি করুন যাতে সে আপনাকে সব কথা বলতে পারে।