ঢাকা ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিয়ে করছেন যেসব ক্ষতি

বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিয়ে করছেন যেসব ক্ষতি

প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে করেছে সহজ। হাতের মুঠোয় বিশ্বকে এনে দিয়েছে মোবাইল ফোন। ইন্টারনেটের কল্যাণে মোবাইল ফোন এখন বিনোদন ও সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম। কেউ কেউ তো শিশু সন্তানকে বশে রাখতেও বেছে নিয়েছেন মোবাইল ফোন। ইউটিউবের ভিডিও বা ফেসবুকে চলতে থাকা একের পর এক রিল শিশুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ির কাজ সামাল দেন অনেক অভিভাবকই। তবে গবেষণা বলছে, শিশুর হাতে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল থাকা এবং চোখের সামনে নানা রকম জিনিস দেখার অভ্যাস, তাদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। জামা পেডিয়াট্রিকস জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের কম বয়সি শিশুরা যদি সারা দিনে ১ থেকে ৪ ঘণ্টা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে অনেক দেরি হয়। কথা শিখতেও সমস্যা হয় অনেক শিশুর। এক বছর বা তার কম বয়সি শিশুরা সারা দিন কতটা সময় মোবাইল বা এই ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পিছনে ব্যয় করে, সেই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানো গয় চার বছর ধরে। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাপানে ৭ হাজারেরও বেশি শিশু এবং তাদের মায়েরা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ওই শিশুদের গতিবিধির ওপর খেয়াল রাখার জন্য তাদের মায়েদের নিযুক্ত করেন গবেষকরা। ওই শিশুদের বয়স যখন বছর দুয়েক, তখন থেকেই তারা নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে বলেই প্রাথমিকভাবে অভিভাবকরা জানান। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু দিনে ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় মোবাইল দেখে কাটিয়েছে, তাদের মধ্যে মস্তিষ্কের মোটর সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করতে, সাধারণ কিছু বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতেও সমস্যা হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, বাচ্চাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে এবং তাদের মস্তিষ্কের সমস্ত অংশের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য হাতে মোবাইলের প্রতি আসক্তি কমিয়ে, শারীরিক সক্রিয়তার ওপর জোর দেওয়া বিশেষভাবে প্রয়োজন। পাশাপাশি বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম এবং পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত