গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারী ও শিশু ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী গৃহশ্রমিকদের মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা লক্ষ্যণীয় মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুসারে দেশে গৃহশ্রমে কাজ করছে এমন শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। বড় ধরনের গৃহশ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মামলায় দুইপক্ষের মধ্যে নানা কারণে আপস হয়ে যায় বলে পরিলক্ষিত হয়। এ কারণে সাজা হয়েছে এমন মামলা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হলেও আদুরী (১১) নির্যাতন মামলায় ২০১৭ সালে গৃহকর্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়। গৃহশ্রমিকের সুরক্ষায় প্রণীত গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে বর্তমান পরিস্থিতিতে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৩, ২৪ ও ২৫-এ সব শ্রমিকের সমান কাজের জন্য সমান মজুরি নীতির ভিত্তিতে ন্যায়সংগত মজুরির বিনিময়ে স্বাধীনভাবে কর্ম নির্বাচন, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, সাময়িক ছুটিসহ বিশ্রাম ও বিনোদন, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বসবাস, পরিবারসহ মানবিক মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন এবং সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লিখিত হয়েছে। ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ এই নীতি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। গৃহকর্মীর পারিশ্রমিক নির্ধারণের বিষয়ে উক্ত আইনের ধারায় যথাক্রমে ক) মজুরি নির্ধারণ খ) খণ্ডকালীন মজুরি ও গ) মজুরি পরিশোধ করার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি অনুযায়ী ‘গৃহকর্ম’ বলতে রান্না-বান্নাসহ সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক কাজে সহায়তা, বাজার করা, গৃহ বা গৃহের আঙিনা বা চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং গৃহের অন্যান্য কাজ যা সাধারণত গৃহস্থালি কাজ হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়াও পোশাক-পরিচ্ছদ ধোয়া, গৃহে বসবাসরত শিশু, অসুস্থ, প্রবীণ কিংবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির যত্ন ইত্যাদি কাজও গৃহকর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে। আর ‘গৃহকর্মী’ বলতে এমন কোনো ব্যক্তিকে বোঝাবে যিনি নিয়োগকারীর গৃহে মৌখিক বা লিখিতভাবে খণ্ডকালীন অথবা পূর্ণকালীন নিয়োগের ভিত্তিতে গৃহকর্ম সম্পাদন করেন।