নানা কারণে অনেক শিশুর মধ্যে গুটিয়ে থাকার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শিশুরা চটপটে হয়। বাসায় আত্মীয়-স্বজন এলে অনেক শিশু সামনে আসতে চায় না। বাইরে কোথাও গেলে অপরিচিত লোকের সামনে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। এমনকি খেলার সঙ্গী, সহপাঠী ও সমবয়সীদের সঙ্গে অনেক শিশু মিশতে চায় না। শিশুদের মধ্যে এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত তাদের স্বভাবে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে। ছোট থেকে চটপটে ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে পারলে বড় হয়ে জীবনের নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করাটা তার পক্ষে সহজ হবে। দ্রুত ফল চাইবেন না- শিশুর মিশুক না হওয়া কোনো অক্ষমতা বা সমস্যা নয়। চঞ্চলতা বা চটপটে স্বভাব যেমন একটা চারিত্রিক ধরন, এটাও সে রকম। শিশু কারো সঙ্গে না মিশলে অনেক মা-বাবা লজ্জা পান। লাজুক বেশি, মিশতে পারে না এমন কথা শুনতে হয়। এ নিয়ে শিশুকে বকাঝকা করেন। শিশুমনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ জন্য ধৈর্য ধরে শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ধীরে ধীরে শিশুকে মিশুক বানাতে হবে। শিশুকে বোঝার চেষ্টা করুন- নানা কারণে শিশুর মধ্যে লাজুকতা ভর করে। এ নিয়ে মা-বাবার চিন্তার শেষ থাকে না। তাঁরা চান শিশু চটপটে হোক। প্রত্যাশার পাশাপাশি শিশুমনকেও বোঝার চেষ্টা করতে হবে। অযথা বকাঝকা করলে শিশু আরো বেশি গুটিয়ে পড়তে পারে। অন্তর্মুখী শিশুদের বোঝা একটু কঠিন। এ জন্য সময় নিয়ে সন্তানকে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। শিশুকে বুঝতে পারলে তার স্বভাবে বদল আনা সহজ হয়। সামাজিক পরিমণ্ডলে অভ্যস্ত করুন- শিশুকে গুটিয়ে রাখবেন না। দীর্ঘ সময় শিশুকে একা একা রাখবেন না। মিশুক না বলে কোথাও নিয়ে যেতে ইতস্তত বোধ করবেন না।