ঢাকা ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শাড়ি ছাড়া বাঙালি নারী অপূর্ণ

শাড়ি ছাড়া বাঙালি নারী অপূর্ণ

যেকোনো উৎসবে শাড়ি ছাড়া নারীর সাজগোজ যেন অপূর্ণই থেকে যায়। ‘ঘরেতে এলো না সে তো, মনে তার নিত্য আসা-যাওয়া...পরনে ঢাকাই শাড়ি কপালে সিঁদুর।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ দুটি লাইন হাজার বছরের বাঙালি নারীদের সহজ সাবলীল রূপ। আর শাড়ি ছাড়া বাঙালি নারীকে কোনোকালে কল্পনাই করা যায় না। ভারতীয় অঞ্চলের নারীদের পোশাক বলতে প্রথম স্থানটি দখল করে রেখেছে শাড়ি। শাড়ি একসময় বাঙালি নারীদের পরিধেয় হলেও তা ক্রমে জনপ্রিয় হয়েছে অবাঙালিদের মধ্যেও। হয়তোবা অঞ্চল ভেদে শাড়ি পরার ক্ষেত্রে নানা ধরনের স্টাইল রয়েছে। তবে ১২ হাত শাড়ি সামলাতে নারীরা অল্প অল্প করে শিখতে থাকে শৈশব থেকে। পুতুল খেলার ছলে শাড়ি পরে যে বাঙালি মেয়েটি বড় হয়; সে একদিন লাল বেনারসি পরে পা রাখে সংসার জীবনে। তাই নারী ও শাড়িকে আলাদা করে কল্পনা করা যায় না বাঙালি নারীদের ক্ষেত্রে। হাল ফ্যাশনে নারীরা পাশ্চাত্যের ডিজাইনের দিকে ঝুঁকে থাকলেও বিয়ে বা নানা উৎসবে তারা শাড়িতে নিজেকে সাজাতে ভালোবাসে। তবে ব্যস্ত জীবনের বাহানাতে শাড়ি পরার চেয়ে সালোয়ার কামিজ বা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরার ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। ৯০ দশকের আগেও এদেশের নারীরা বিয়ের পর সালোয়ার কামিজ বা অন্য কোন পোশাক পরবে তেমনটা চিন্তা করতে পারত না। তারও আগের সময়ের দিকে দেখা গেছে খুব অল্প বয়সেই নারীরা শাড়ি পরতেন।

যার প্রমাণ মিলে কাব্য সাহিত্যে। ওই সময়কার সমাজের নারীদের ফ্রক ছেড়েই শাড়ি পরার রীতি ছিল। সেই রবীন্দ্রনাথের হারিয়ে যাওয়া প্রেমের মেয়েটা হোক অথবা বাঙালির কোনো উৎসবে নারী- বাঙালি মেয়েদের জীবনের কোনো আয়োজনই কি পূর্ণতা পায় শাড়ি ছাড়া? বিয়ে, বরণ বা বিদায়- কোথায় নেই শাড়ির ছোঁয়া? বাঙালি নারীর সঙ্গে শাড়ি শব্দটি যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাঙালি নারী বলতেই একজন শাড়ি পরিহিতাকে আমরা মনের চোখে ধারণ করি। বাঙালি নারীর জন্য শাড়ি মানেই হচ্ছে এক সৌন্দর্যের ব্যাকরণ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত