নারীর ওজন বিভ্রাট

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারী ও শিশু ডেস্ক

নিয়মিত ব্যায়াম করা একজন নারী সম্ভবত এই বিভ্রান্তিতে থাকেন যে, একই সময় নিয়ে শরীরচর্চা করলেও পুরুষের তুলনায় তার ওজন কেন কম ঝরে? তবে এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। গবেষণা করে এ বিষয়ে বেশ কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা; এগুলোর বেশিরভাগই শারীরবৃত্তীয়। যার ওপর নারীদের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। তবে কারণগুলো জানলে ওজন কমানোর এই যাত্রায় অন্য কারো সঙ্গে নয় বরং নারী নিজেই নিজের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে পারবে। কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক : ওজন কমান বয়স মেনে- প্রথমত, পুরুষের শরীরে পেশির পরিমাণ বেশি থাকে। সম্প্রতি জার্নাল অব অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজিতে প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি গবেষণার ফলাফল। গবেষণাটির জন্য ৪৬৮ জন পুরুষ ও নারীকে বেছে নেওয়া হয়। সেই গবেষণায় দেখা যায়, নারীর তুলনায় পুরুষের শরীরে পেশির পরিমাণ প্রায় ৩৬ শতাংশ বেশি। যার পেশি যত বেশি, তার ক্যালরি খরচও হয় তত বেশি। এমনকি সে যদি কাজ না করে তবুও। আর এটি যুক্তিযুক্ত যে কিছু পুরুষের ওজন দ্রুত হ্রাস পায় কারণ তাদের রয়েছে বেশি বিপাকক্রিয়ায় সক্রিয় পেশি। দ্বিতীয়ত, শারীরিক কারণেই নারীর দেহে চর্বি সঞ্চয় করে রাখার প্রবণতা বেশি। পুরুষের তুলনায় নারীর দেহ থেকে উচ্চমাত্রার ইস্ট্রোজেন হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়ে থাকে। ইস্ট্রোজেন এমনই এক হরমোন যা পেলভিস, নিতম্ব, উরু এবং স্তনে চর্বি জমতে সাহায্য করে। মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেনের নিঃসরণই বেশিরভাগ নারীর ওজন কমার পেছনে একটি বড় অন্তরায়। তৃতীয়ত, জরিপে দেখা গেছে যে নারীদের তুলনায় কায়িক পরিশ্রম হয় এমন ব্যায়ামগুলো বেশি করে পুরুষরা। জানা কথা, শারীরিক কসরত হয় এমন ভারী ব্যায়ামগুলো করলে শরীরের ওজন দ্রুত ঝরে। কায়িক পরিশ্রমে শরীরের পেশি দ্রুত চর্বিগুলো ছেড়ে দেয় এবং তা দ্রুত ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। চতুর্থত, নারীদের দেহ ব্যায়ামের জন্য কম সহনশীল। গড়পড়তায় পুরুষের তুলনায় নারীদের ফুসফুস সাধারণত দুর্বল থাকে।