ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চুমকির উদ্যোক্তা হওয়ার সাতকাহন

চুমকির উদ্যোক্তা হওয়ার সাতকাহন

‘ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে লেখাপড়া শেষ করে একটা ভালো চাকরি করব। কিন্তু হঠাৎ যখন ২০২০ সালে মহামারি ভয়ংকর আকার ধারণ করল করনায়। তখন যেন সব কাজ সব প্রকল্পগুলো স্তব্ধ হয়ে গেল স্তূপ হয়ে গেল।

ঠিক সেই সময় আমি প্লান করলাম যে, অনলাইনে কোনো একটা কাজ করলে আমার জন্য দেশের জন্য ভালো হবে। ঘরে বসে। ঠিক তখনই আমি শুরু করলাম অনলাইন বিজনেস। কিছু জুয়েলারির প্রোডাক্ট আমি কালেক্ট করলাম। নিজে সৃজনশীলভাবে নিজের জুয়েলারিগুলো তৈরি করলাম। ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হিসেবে আমি কাজ করা শুরু করলাম।’ কথাগুলো বললেন চুমকি তামিমা। তিনি আরও বলেন, দেখলাম এই কাজগুলো করার পাশাপাশি আমি অনেক মানুষের কাছ থেকে সড়াও পাচ্ছি। মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছে ঘরে বসে পণ্যগুলো কিনতে পারছে। তাছাড়া আমারও কিছু ইনকাম হচ্ছে। এবং আমি মানুষের পাশেও দাঁড়াতে পারছি। মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তখনই আমি আসলেই এই উদ্যোক্তা লাইনে জড়িয়ে গেলাম। তারপর আস্তে আস্তে আমি নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে অসহায় দুঃস্থ নারীদের নিয়ে আমার পথচলা শুরু হলো। সেই এক টাকা থেকে আজ এই পর্যন্ত। চুমকি মনে করেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে প্রথমে মূলধন প্রয়োজন। পাশাপাশি পরিশ্রম, মেধা, বুদ্ধি এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস। তাহলেই যে কেউ কিছু একটা কাজ শুরু করতে পারবে। চুমকির অনলাইন ব্যবসা। তার ব্যবসার পেইজের নাম। চুমকিস লাইফস্টাইল। এ সম্পর্কে তিনি জানান, আমি জুয়েলারির ব্যবসা করছি। অফলাইন অনলাইন এখন দুটাই কাজ করছি। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে চুমকি জানান, আমি নারীর উদ্যোক্তা হিসেবে সমস্ত দুস্থ সুবিধাবঞ্চিত নারীদের নিয়ে ছোট ছোট কাজ থেকে বড় বড় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।

এবং তাদের পাশে থাকা আমার দায়িত্ব। আমার এই পণ্য এবং ব্যবসা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া আমার দায়িত্ব। আগামী পাঁচ বছর পরেও চুমকি স্বপ্নপূরণের শেষ প্রান্তে নিজেকে দেখতে চান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত