ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সন্তানের ব্যক্তিত্বে বাবা-মায়ের করণীয়

সন্তানের ব্যক্তিত্বে বাবা-মায়ের করণীয়

শিশুর ব্যক্তিত্ব বলতে তার চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি ও আচরণকে বোঝায়। এর ভিত্তি মূলত ছোটবেলায় তৈরি হয়। এখানে পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে পরিবার কীভাবে অবদান রাখতে পারে-

শিশুর অংশগ্রহণ ও মতামত প্রদানে সাহায্য করা : শিশু একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি এটি পরিবারকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সে ছোট হলেও তার নিজস্ব ভালো লাগা না লাগা, পছন্দণ্ডঅপছন্দ আছে। সুতরাং, তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় শিশুর অংশগ্রহণ থাকা এবং যে কোনো কাজে শিশুকে সঙ্গে রাখা জরুরি। শিশুকে যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে। যদি কোনো বিষয়ে তার ভুল হয়ে থাকে তাকে সংশোধন করে দেওয়া এবং তাকে কারণটা বুঝিয়ে বলা আপনার দায়িত্ব। পারিপাবরিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শিশু অনেক সময় তার নিজস্ব মতামত দিতে পারে। এতে করে তার সিদ্ধান্ত প্রদান এবং গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সে হয়ে উঠবে আত্মবিশ্বাসী।

শিশুকে বিভিন্ন খেলাধুলায় উৎসাহিত করা : শিশু যেন আনন্দের সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, সেজন্য তার বয়স অনুযায়ী খেলনা এবং খেলা নির্বাচন করতে হবে। বাজারে খেলনা কিনতে গেলে দেখবেন অনেক খেলনার গায়ে বয়স দেওয়া আছে, আপনার শিশুর বয়স অনুযায়ী খেলনা কিনবেন। এতে শিশু সহজে সেই খেলনা দিয়ে খেলতে পারবে এবং তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ভালো হবে।

শিশুর জানার আগ্রহকে সম্মান করুন : শৈশবে শিশুর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার কৌতুহল থাকে। তারা অনেক প্রশ্ন করে, এতে করে অনেক বাবা-মা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিরক্ত হন। এসব ক্ষেত্রে বিরক্ত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে সেসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে হবে। অনেক সময় শিশুরা জটিল এবং অদ্ভুত প্রশ্ন করে থাকে, যেসব প্রশ্নের উত্তর বড়রাও জানেন না। সেক্ষেত্রেও রাগ না করে বা ভুল ব্যাখ্যা না দিয়ে তাকে বলুন আপনি তা জানেন না এবং সেটা জেনে জানানোর চেষ্টা করবেন।

শিশুকে সততা এবং নৈতিকতা গঠনে সাহায্য করুন : একজন শিশুর সৎ ও নীতিবান হওয়ার ক্ষেত্রে পরিবার অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। শিশুর সামনে কখনো মিথ্যা না বলা বা শিশুর সঙ্গে মিথ্যা না বলার অভ্যাস করতে হবে। শিশুকে কখনো মিথ্যা আশা দেয়া যাবে না। যেমন, আপনার শিশু হয়তো খেতে চাইছে না আপনি তখন তাকে বললেন সে যদি খেয়ে নেয় তাহলে তাকে আপনি খেলনা কিনে দেবেন বা ঘুরতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি পরবর্তীতে কথা রাখলেন না। এতে করে শিশু তার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে এবং নিজেও এরকম শিখবে। শিশুদের সামনে অন্যায় কাজ করা যাবে না বা অন্যায় কাজকে সমর্থন দেয়া যাবে না। এতে শিশুর নৈতিক দিক উন্নত হবে।

শিশুর যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা : শিশুদের সামনে সঠিক শব্দ ও ভাষা ব্যবহার করা খুব জরুরি। এতে করে তার যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। অন্যকে দুঃখ বা আঘাত দিয়ে কথা না বলে কীভাবে দৃঢ়ভাবে কথা বলতে হয় সে সেটা শিখবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত