ঢাকা ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সন্তান কি বুদ্ধিমান?

সন্তান কি বুদ্ধিমান?

প্রতিটি শিশুই অনন্য, স্বতন্ত্র গুণাবলী এবং সম্ভাবনার অধিকারী। তবে কিছু শিশু থাকে যারা প্রতিভাবান। শিশু বয়স থেকেই তাদের ভেতরে কিছু লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন সে অন্য শিশুদের তুলনায় বুদ্ধিমান।

আপনার সমর্থন এবং উৎসাহ পেলে সে নিজেকে বিকশিত করা তার জন্য সহজ হবে। কিন্তু কী করে বুঝবেন আপনার শিশু বুদ্ধিমান ও প্রতিভাবান? আপনার সন্তানের মধ্যে এই লক্ষণগুলো আছে কি না মিলিয়ে নিন-

কম বয়সেই এগিয়ে যাওয়া : প্রতিভাধর শিশুরা তাদের সমবয়সিদের চেয়ে আগে শিখতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে প্রাথমিক ভাষা দক্ষতা, মেকানিক দক্ষতা বা বৈজ্ঞানিক নানা বিষয় শেখা। সেগুলো দ্রুত উপলব্ধি করার এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তাদের মধ্যেই দ্রুতই দেখতে পাবেন। আপনার সন্তান যদি তুলনামূলক কম বয়সেই এগুলো শিখে ফেলে তাহলে বুঝবেন সে অন্যদের থেকে বুদ্ধিমান।

প্রখর স্মৃতিশক্তি : প্রতিভাধর শিশুদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো প্রখর স্মৃতিশক্তি থাকা। তাদের বিশদভাবে তথ্য স্মরণ করার ক্ষমতা থাকে। যেমন জটিল ক্রম মনে রাখা, ব্যাপক শব্দভাণ্ডার বা নির্ভুলভাবে যে কোনো ঘটনার বর্ণনা দেওয়া। এই লক্ষণগুলো খেয়াল করুন। শিশুর ভেতরে এ ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকলে বুঝে নেবেন যে সে বুদ্ধিমান।

কৌতূহল এবং অনুসন্ধিৎসুতা : প্রতিভাধর শিশুরা কৌতূহলী হয়। নতুন কিছু জানার প্রতি স্বাভাবিক ঝোঁক থাকে। তারা অনুসন্ধানমূলক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে, ‘ কেন’ এবং ‘কীভাবে’ বোঝার চেষ্টা করে এবং বিস্তৃত বিষয়গুলোতে আগ্রহ প্রকাশ করে। শিশুর জন্য এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলুন যা তার প্রশ্ন এবং কৌতূহলকে মূল্য দেয়। তার সঙ্গে কথা বলুন, একসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করুন এবং তাদের আগ্রহের বিষয়গুলো গভীরভাবে অনুসন্ধান করার জন্য সমর্থন দিন।

দ্রুত শেখার ক্ষমতা : প্রতিভাধর শিশু সাধারণত দ্রুত নতুন ধারণা শিখতে পারদর্শী হয়। তারা ত্বরিত গতিতে দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারে। এ ধরনের শিশুরা সহজে জটিল বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারে।

প্রতিভাধর শিশুদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পড়ার প্রতি অত্যধিক আগ্রহ থাকে এবং তারা বয়সের তুলনায় উন্নত পড়ার দক্ষতা অর্জন করতে পারে। তারা পরিশীলিত সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে এবং তাদের বয়সের তুলনায় বিস্তৃত শব্দভাণ্ডার থাকতে পারে।

সৃজনশীলতা এবং কল্পনা : সৃজনশীলতা প্রতিভার একটি বৈশিষ্ট্য। এ ধরনের শিশুদের বেশিরভাগ সময় কল্পনা, মূল চিন্তাভাবনা এবং সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার ক্ষমতা থাকে। তারা শৈল্পিক সাধনায় পারদর্শী হতে পারে। যেমন অঙ্কন, লেখা বা সঙ্গীত রচনা করা। শিশুর এ ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকলে তার সৃজনশীলতা বিকাশে সহযোগিতা করুন। আপনার উৎসাহ তার লক্ষ্য সহজ করে দিতে পারে।

অসাধারণ সমস্যা সমাধানের দক্ষতা : প্রতিভাধর শিশুরা জটিল সমস্যা সমাধানে পারদর্শী হয়। তারা চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না, সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সৃজনশীল সমাধান তৈরি করতে পারে।

এই ক্ষমতা তাই একাডেমিক শিক্ষার বাইরেও নানাকিছু শিখতে সহযোগিতা করে। ফলে চলমান বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তার সুবিধা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত