মা হওয়ার যাত্রা সহজ নয়। গর্ভধারণের শুরুর দিনটি থেকেই নানা ধরনের নতুন অভিজ্ঞতার মধ্য থেকে যেতে হয়। নিজের ভেতরে আরেকটি প্রাণ বড় করা সহজ কিছু নয়। সেই সন্তানকে নিরাপদে পৃথিবীতে আনতে রাখতে হয় নানা প্রস্তুতি। এ সময় মায়ের প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের। কারণ, সেই বাড়তি যত্নটুকু পৌঁছে যায় অনাগত শিশুর কাছে। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। কিছু সমস্যা সাধারণ আবার কিছু বেশ মারাত্মক হতে পারে। সব সময় চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার দরকার হয় না। তবে চারটি সমস্যার দিকে খেয়াল রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সমস্যাগুলো দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক
বমি ও মাথাব্যথা : গর্ভবতী হওয়ার পর প্রথম ট্রাইমেস্টারে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময় প্রায়ই বমি ও মাথাব্যথা হতে পারে। বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে সাধারণত সকালের দিকে এই সমস্যা হয়। যে কারণে একে মর্নিং সিকনেসও বলা হয়। সাধারণত স্ট্রেসের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তনও হয়। অল্প অল্প হওয়া স্বাভাবিক তবে খুব বেশি মাথাব্যথা বা বমি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পেটে ব্যথা : গর্ভাবস্থায় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো পেটে ব্যথা। এ সময় পেটের পেশি ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। এর ফলে পেটের পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা হতে থাকে। এই ব্যথা কমাতে হালকা গরম পানিতে প্রতিদিন গোসল করা যেতে পারে। তবে ব্যথা কমাতে নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। ব্যথা সহ্য করা না গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।
কোমরে ব্যথা : গর্ভধারণের পর কোমরের ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ওজন বেশি হলে এই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এবং সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করলে এই ব্যথা অনেকটাই কমানো সম্ভব হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় সাধারণ সময়ের মতো ব্যায়াম করা যাবে না। এ সময় ব্যায়াম করতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী।
স্পটিং ও ব্লিডিং : প্রথম ট্রাইমেস্টারে অনেক গর্ভবতী মায়েরই অল্প রক্তপাত হতে পারে। এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। তবে এটি গর্ভপাতের লক্ষণ নয়। এই সময় ভ্রুণ জরায়ুর মধ্যে ঠিকভাবে প্রোথিত হয়। সেই সঙ্গে হরমোনের মাত্রাও ওঠানামা করে। তাই রক্তপাত হতে পারে।