সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ নিশ্চয়ই আপনার কাছে নতুন নয়? আমরা ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি দিনে একটি আপেল খেলে তা আপনাকে ডাক্তার থেকে দূরে রাখবে। অর্থাৎ আপনি সুস্থ থাকবেন আর চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনও হবে না। মজার বিষয় হলো, আপেল কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। নিয়মিত আপেল দিয়ে রূপচর্চা করলে সুফল পাবেন। ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফল আপনার ত্বকের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। আপেলে থাকে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কপার। যা ত্বককে সতেজ করতে কাজ করে। এটি ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে। আপেল ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর হয় সহজেই।
আপেল ও চন্দনের ব্যবহার : চন্দনের গুঁড়া ও আপেলের রস উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এই উপাদান অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন প্রতিরোধে কাজ করে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে, তারা এভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকে বিভিন্ন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ যা ব্রণ দূর করে ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে।
আপেল ও টক দই : টক দই আমাদের ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়। এটি আপেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এর সঙ্গে আরও মেশাতে হবে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড এক্সফোলিয়েন্ট হিসাবে কাজ করে। যে কারণে ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষকে দূর হয়। অপরদিকে লেবুর রস কাজ করে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয় দ্রুতই। এই ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক কোমল হবে ও ট্যান দূর হবে।
আপেল ও মধু ব্যবহার : আপেল গ্রেট করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো আপেল। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অপরদিকে মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ময়েশ্চারাইজিং প্রভাব ত্বক ভালো রাখে। দূষণের কারণে ত্বকের ক্ষতি থেকে বাঁচতে সপ্তাহে একদিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
হলুদের গুঁড়া ও আপেল : আপেল ব্লেন্ড করে নিয়ে তার সঙ্গে মেশান হলুদের গুঁড়া। এরপর এই দুই উপাদান দিয়ে তৈরি করুন ফেসপ্যাক।
হলুদে থাকা কারকিউমিন অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কারকিউমিন হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে পারে এবং ত্বকের আভা ফিরিয়ে আনে। তাই আপেলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করলে দারুণ উপকার পাবেন।