বিয়ে কেবল দুজন মানুষের মিলন নয় বরং দুটি পরিবারেরও মিলন। অনেক সময় দেখা যায় যে, সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকলেও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ততটা ভালো নয়। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা বিবাহিত জীবনের একটি চ্যালেঞ্জিং দিক হতে পারে। এই সম্পর্কের সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য অনেক ধৈর্য, বোঝাপড়া এবং স্পষ্ট কথোপকথনের প্রয়োজন। ব্যক্তিত্বের পার্থক্য, সাংস্কৃতিক পার্থক্য বা অতিরিক্ত প্রত্যাশা- যা-ই হোক না কেন, একটি সুখী পারিবারিক পরিবেশের জন্য শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার উপায় খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সীমানা নির্ধারণ করুন : সম্পর্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কঠিন শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে। আপনার প্রত্যাশা এবং সামর্থ্যরে সীমানা নির্ধারণ করুন এবং সেই সীমানা বজায় রাখার জন্য দৃঢ় থাকুন। এটি হতে পারে আপনার পার্সোনাল স্পেস, অর্থ, বাড়ি বা শিশুকে পরিচালনার বিষয়ে মতামত, আপনি সীমানা নির্ধারণ করে দিলে তা ভুল বোঝাবুঝি এবং দ্বন্দ্ব প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
সরাসরি কথা বলুন : সরাসরি কথা বলার অভ্যাস যে কোনো সুস্থ সম্পর্কের চাবিকাঠি। আপনার শ্বশুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। এতে তারাও এভাবে কথা বলতে শিখবে। আপনার উদ্বেগ এবং অনুভূতিগুলো স্পষ্টভাবে এবং সম্মানের সঙ্গে প্রকাশ করুন। এক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গীও বুঝুন। দোষ বা সমালোচনা এড়ানোর একটি উত্তম উপায় বেছে নিন। সমালোচনার পরিবর্তে সহানুভূতিশীল হোন এবং তাদের ঝগড়া হলেও মধ্যম পন্থা অবলম্বন করুন। রাগের মাথায় এমন কিছু বলে ফেলবেন না যা পরবর্তীতে আপনাকে অনুশোচনায় ফেলবে। সঙ্গীর সমর্থন নিন : শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য দম্পতি হিসাবে এক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সঙ্গীকে তার বাবা-মা সম্পর্কে আপনার উদ্বেগ সম্পর্কে বলুন; আপনার সঙ্গীর সঙ্গে তাদের বিষয়ে আপনার অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করুন এবং সমস্যার সমাধান খুঁজতে একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করুন। আপনার সঙ্গী শক্তিশালী এবং সহায়ক হলে সে আপনাকে পারিবারিক সমস্যা সমাধান করতে এবং শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
শান্ত থাকুন : আপনার কঠিন শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া না করে, কৌশলে প্রতিক্রিয়া জানানোর চেষ্টা করুন। এসব ক্ষেত্রে বিজ্ঞতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। মনে রাখবেন, প্রতিটি মতপার্থক্যকে পূর্ণাঙ্গ যুক্তিতে পরিণত করার দরকার নেই। এর পরিবর্তে সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে ফোকাস করুন এবং ছোটোখাটো মতপার্থক্যগুলো ছেড়ে দিন। অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলুন। পরিবারের মধ্যে আপনার মানসিক শান্তি এবং সম্প্রীতিকে অগ্রাধিকার দিন, এমনকি যদি কিছু বিষয়ে আপসও করতে হয়।
ধৈর্য এবং মননশীলতার অনুশীলন : শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ কঠিন হলে তা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।