ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারীর কান্নায় কমে পুরুষের রাগ!

নারীর কান্নায় কমে পুরুষের রাগ!

স্বভাবজাতভাবে নারীরা কিছুটা আবেগী হয়ে থাকেন। রাগ, অভিমান কিংবা দুঃখ অনুভূতি যা-ই হোক একসময় কেঁদে ফেলেন বেশিরভাগ নারী। এই কান্নার সুফল বা কুফল নিয়ে কি কখনো ভেবেছেন? নারীর কান্না কি পরিস্থিতি শান্ত করতে পারে? নতুন এক গবেষণা বলছে, নারীর অশ্রুর ঘ্রাণ কমাতে পারে পুরুষের আগ্রাসী মনোভাবকে। চলুন এই গবেষণা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক- গবেষকরা বলছেন, নারীর কান্নার ঘ্রাণে পুরুষের আগ্রাসী মনোভাব কমে যায় অন্তত ৪৪ শতাংশ। পিএলওএস বায়োলজি এই গবেষণাটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, পুরুষের মস্তিষ্কের যে অংশটি তাকে আক্রমণাত্মক করে তোলে, তা দুর্বল করে দেয় নারীর কান্নার ঘ্রাণ। এখানেই শেষ নয়। মানুষ কেন কাঁদে, তার একটি ব্যাখ্যাও দাঁড় করানো হয়েছে এই গবেষণায়। এতে বলা হয়, সম্ভবত পরিস্থিতিকে শান্ত করার একটি জৈবিক কৌশল এটি।

সামাজিকতার ইঙ্গিত অশ্রুতে- স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের জলে যে রাসায়নিক থাকে, তা সামাজিক সংকেত হিসেবে কাজ করে। এর প্রভাব খুব প্রখর। বিজ্ঞানীরা দেখেন, পুরুষ ইঁদুরের অশ্রুতে এমন একটি রাসায়নিক থাকে, যা নারী ইঁদুরকে যৌনতার প্রতি আরও আগ্রহী করে তোলে।

এমনকি অন্তঃসত্ত্বা ইঁদুরের গর্ভপাতও হতে পারে অশ্রুর কারণে। অবশ্য, বাবা ইঁদুরের অশ্রুতে এমনটা ঘটবে না। ইঁদুরের অশ্রু প্রভাবিত করে আগ্রাসী আচরণকেও। অন্ধ নারী ইঁদুরেরা নিজেদের পুরুষের আগ্রাসী আচরণ থেকে রক্ষায় কান্নার আশ্রয় নেয়। আর নারী ইঁদুরের কান্নায় এমন রাসায়নিক থাকে, যা পুরুষ ইঁদুরের লড়াই থামিয়ে দেয়। অন্যদিকে শিশু ইঁদুরের কাছে আত্মরক্ষার একমাত্র সম্বল কান্না। ইঁদুরের ক্ষেত্রে কান্নার এত প্রভাব থাকলেও মানুষের কান্না কতটা প্রভাব রাখতে পারে, তা স্পষ্ট ছিল না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত