অসহায় নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে চান কনিকা

কনিকা হোসেন। নারী উদ্যোক্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচিত মুখ। সাকসেস অন্টারপ্রোনার অব বাংলাদেশ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তিনি। তার ক্যারিয়ারের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন আলোকিত বাংলাদেশের নারী ও শিশু বিভাগের সঙ্গে। লিখেছেন- রেজাই রাব্বী

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

আপনার উদ্যোগের নাম কি

আমার উদ্যোগের নাম শৈল্পিক স্বাদ। ভেজালমুক্ত বিভিন্ন রকম গুঁড়া মসলা, সম্পূর্ণ খাঁটি খেজুরের গুড়, অর্গানিক হেয়ার ওয়েল ও ব্যাথার মলম পেইন রিলিফ বাম নিয়ে কাজ করছি।

এত পণ্য থাকতে এই পণ্য বেছে নিলেন কেন

আমি যখন উদ্যোক্তা জীবন শুরু করি তখন খাঁটি ও ভেজালমুক্ত দ্রব্য পাওয়া দুষ্কর ছিল বর্তমানেও তাই। বাজারজুড়ে যখন ভেজালের ছড়াছড়ি তখন আমি চিন্তা করেছি খাঁটি পণ্য সবার কাছে পৌঁছে দিয়ে মানবসেবায় নিয়োজিত থাকব। এজন্য আমি আমার পণ্যগুলোকে ১০০% খাঁটি ও ভেজালমুক্ত ভাবে নিজ হাতে তৈরি করা থেকে প্যাকেজিং পর্যন্ত করে থাকি। সততার সাথে কাস্টমারের বিশ্বাস অর্জন করে চলছে শৈল্পিক স্বাদ।

উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই ছোটবেলা থেকেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং নিজের একটা পরিচয় হবে এটা স্বপ্ন দেখতাম। বিয়ের আগে চাকরি করলেও বিয়ের পর সেটা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। ২০১৯ সালে এসে আবার মনে হলো আমার নিজের একটা পরিচয় হওয়া উচিত। আমার নিজের একটি ভিজিটিং কার্ড হওয়া উচিত। আমার সন্তান তার মাকে নিয়ে গর্ববোধ করবে, আমার পরিবার আমাকে নিয়ে গর্ববোধ করবে- এমন কিছু একটা করা উচিত। সেখান থেকেই উদ্যোক্তা জীবনে আসা এবং গন্তব্যহীন পথচলা।

উদ্যোগ নিয়ে প্রতিবন্ধকতা কী

বাংলাদেশের নারীরা এখনো কাজের জন্য স্বাধীন নয়। সুতরাং, উদ্যোগ নিয়ে হাজারো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা তো রয়েছে সেই সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেক প্রতিবন্ধকতা অনেক হ্যারেজমেন্টের শিকার হতে হয় আমাদের।

কীভাবে এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেন আমি আসলে আমার কাজ গুলো পরিকল্পনা করে সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে করি এবং আমি আমার লক্ষ্য ঠিক রেখে কাজ করি। তাই প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে এতটা ভাবার সময় নেই আমার। নিজের মতো করে লক্ষ্য অর্জন এর পথে ছুটে চলছি আমি। নেগেটিভ বিষয়গুলোকে ইগনোর করেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান

আগামী ৫ বছর পরে নিজের উদ্যোগটাকে অর্থাৎ শৈল্পিক স্বাদকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি স্বনামধন্য ব্রান্ড হিসেবে দেখতে চাই। শৈল্পিক স্বাদ এর অফলাইন আউটলেট হবে। এবং অনেক অসহায় নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই।