ঢাকা ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চলার পথে প্রতিটি কাজেই প্রতিবন্ধকতা আছে

শাহিনা আক্তার। নারী উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা জীবনের নানা প্রতিবন্ধকতা, ভাবনা নিয়ে কথা হয় নারী ও শিশু বিভাগের সঙ্গে। লিখেছেন রেজাই রাব্বী
চলার পথে প্রতিটি কাজেই প্রতিবন্ধকতা আছে

আপনার উদ্যোগের নাম?

‘Anonna Fashion’। দেশীয় শাড়ি, থ্রিপিচ, বেডশিট এবং কুশি কাঁটার পণ্য নিয়ে কাজ করছি। আমার সিগনেচার পণ্য শাড়ি, এটা আমি নিজেই ডিজাইন করে হাতের কাজ করে থাকি।

এত পণ্য থাকতে এই পণ্যগুলো বেছে নিলেন কেন?

বুটিক নিয়ে আগে থেকেই আমার স্বপ্ন ছিলো। দেশীয় পণ্যের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমার এ উদ্যোগ। এর কদর সবজায়গাতে আছে দেশে এবং বিদেশে। আমি একজন নারী। তাই নারীর সৌন্দর্যের সক্রিয়তা বজায় রাখার জন্য আমি নারীদের ব্যবহৃত পণ্য নিয়ে কাজ করছি। এক্ষেত্রে আমি পণ্যের গুণগত মান এবং দামও কম রারাখার চেষ্টা করি। নারীরা তাদের ব্যবহৃত পণ্য যেন সহজে ও ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করতে পারে, যেন না ঠকে, নারীরা যেন উপকৃত হয় সেজন্য আমি এ পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করছি।

উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই

আমি যুক্ত আছি বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘে সুদীর্ঘ দশ বছর। এটা একটা কল্যাণমূলক সংস্থা। এখান থেকেই মূলত আমার পথ চলা শুরু। আমি বিভিন্ন ধরনের সেলাই করে প্রথম পুরস্কার হিসেবে সেলাই মেশিন এবং সেলাই সনদ পাই। এরপর উদ্যোক্তা হওয়ার সূচনা।

আমার আব্বা একজন আর্মি অফিসার। তিনি সবসময় জীবনে ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করতেন। কঠিন শাসনের মধ্যে আমার বেড়ে ওঠা। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি গর্বিত, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। হাজবেন্ডের সহায়তায় গ্রায়েজুশন সম্পন্ন করি। আমার উদ্যোগের একমাত্র অনুপ্রেরণা আমার হাজবেন্ড। আমার দুটো দোকান আছে, একটা গোডাউন আছে। স্বল্প পরিসরে কাজ করে যাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমার স্বামী অবসরের পর দুজন একসাথে কাজের পরিধিটা বাড়ানোর ইচ্ছা আছে।

উদ্যোগ নিয়ে প্রতিবন্ধকতা কী?

এমন সমাজে আমার বেড়ে ওঠা। যেখানে একজন নারীর জন্য বিজনেস/উদ্যোক্তা হওয়া সহজ বিষয় না। এছাড়াও সমাজের মানুষের বিশেষ করে নারীদের অনেক প্রতিবন্ধকতামূলক নেগেটিভ কথা। তবে, আমার স্বামী, সন্তানরা আমাকে খুবই সাপোর্ট করে।

কীভাবে এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেন?

জীবন চলতে প্রতিটা কাজেই প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে, আমি পাছে লোকে কিছু বলে কথায় কান দিই না। সামনে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় আছে, এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

আমার স্বপ্ন- আগামী ৫ বছরে আমার প্রতিষ্ঠানটাকে আরো প্রসার ঘটাতে চাই, বড় পরিসরে দেখতে চাই, এ লক্ষ্যে সমাজের অবহেলিত ২০-৫০ বা ১০০ জন নারী নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত