যত ঢঙের আর যত ধরনের পোশাকই থাকুক না কেন, বাঙালি নারীর আসল রূপ খোলে শাড়িতে। মায়া, আবেদন, সংস্কৃতি সবকিছু দারুণ মেলবন্ধন এই পোশাকটি। সাধারণ শাড়ি অসাধারণ হয়ে ওঠে ব্লাউজ আর গয়নার সঙ্গ পেলে। তবে ব্লাউজের গলা কেমন তার ওপর নির্ভর করে সঠিক গয়না নির্বাচন করা চাই। তাহলেই অপরূপা হওয়া যাবে সাজে। অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না কোন ব্লাউজের সঙ্গে ঠিক কেমন গয়না পরবেন। এতে সৌন্দর্যও পুরোপুরি ফুটে ওঠে না। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক-
বোটনেক বা হাই রাউন্ড নেকলাইন ব্লাউজ : শাড়ির সঙ্গে এমন ব্লাউজ পরলে গলায় কোনো হার না পরলেও চলে। এক্ষেত্রে ব্লাউজের গলা যেহেতু কলার বোনের উপরের থাকে তাই এর ওপর ভারী নেকলেস পরলে সাজ বেশি জমকালো দেখায়। এমন ব্লাউজ পরলে সঙ্গে কানে বড় দুল পরতে পারেন। এক্ষেত্রে ঝুমকা বা চাঁদবালা উপযুক্ত সঙ্গী। আর যদি গলায় কিছু পরতেই চান তাহলে নেকলাইন লাগোয়া হার পরতে পারেন।
ডিপ রাউন্ড বা স্কয়ার নেকলাইন ব্লাউজ : এমন ব্লাউজের সঙ্গে চোকার হারই সবচেয়ে ভালো মানায়। সঙ্গে কানে পরুন ছোট বসানো দুল। এমন গলার ব্লাউজের সঙ্গে চোকার পরলে উচ্চতাও বেশি দেখায়।
কলার দেওয়া ব্লাউজ : শার্টের মতো টপ বা ব্লাউজ পরলে তার সঙ্গে চোকার বেমানান। এমন ব্লাউজের সঙ্গে লম্বা হার পরুন। উজ্জ্বল রঙের কলার দেওয়া ব্লাউজের সঙ্গে হালকা রঙের হ্যান্ডলুম শাড়ি আর অক্সিডাইজের লম্বা হার- ব্যাস, ফাল্গুন কিংবা ভালোবাসা দিবসের সাজ হিসেবে একদম মানানসই।
ডিপ ভি লাইন বা সব্যসাচী কাট ব্লাউজ : এমন ব্লাউজের সঙ্গে ভারী গলাভর্তি নেকলেস সবচেয়ে বেশি মানায়। আপনি যদি ক্লিভেজ দেখানো ব্লাউজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাহলে এমন ব্লাউজের সঙ্গে চওড়া নেকলেস পরুন। সঙ্গে ঝুমকো পরলেও মানিয়ে যাবে বেশ।
অফ শোল্ডার ব্লাউজ : বর্তমানে অফ শোল্ডার ব্লাউজের চল। এমন ব্লাউজের সঙ্গে চোকার ভালো মানায়। কানে ঝুমকোর বদলে বড় কোনো টপ বা মুলতানি কাজের দুল পরতে পারেন। ব্লাউজের সঙ্গে মানানসই গয়নায় সাজুন। তাহলেই শাড়িতে পুরোপুরি সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারবেন সহজেই।