নারী উদ্যোক্তার জীবনে প্রতিটা পদক্ষেপে বাঁধা

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

লুৎফুন নাহার মাহমুদা ‘মেরী’। আইনজীবী। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তা। তার উদ্যোগের নাম ‘Marys Mart’। মেরিস মার্ট।

উদ্যোক্তা জীবনের শুরু, চ্যালেঞ্জ ও নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কথা বলেছেন নারী ও শিশু বিভাগের সঙ্গে

উদ্যোক্তা জীবনের শুরুটা কীভাবে হলো?

করোনা কালীন সময়ে যখন কোর্টে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো ভাবলাম ওকালতির পাশাপাশি কিছু একটা করি। কাজ পাগল আমি ঘরে বন্দি ভাবলাম কি করি কি করা যায় সময় যেন কাটছে না তখন থেকে আমার উদ্যোক্তা জীবনের স্বপ্ন বোনা একটু একটু করে শুরু। প্রথমে শখে তারপর নেশায় পরিণত হলো। বান্ধবী স্বপ্না আলমের মাধ্যমে পরিচয় হলো নেক্সাস লেডিস ক্লাবের সঞ্চালনাকারী প্রিয় জাকিয়া আপুর আমন্ত্রণে সাক্ষাৎকারে ভীষণ ভীষণ ভালো লাগল। হৃদয়ে গেঁথে গেল নেক্সাস টেলিভিশন, পেলাম বিশাল শক্তিশালী ভালোবাসাময় একটি পরিবার। নেক্সাস এক ঝাঁক উদ্যোক্তা বান্ধবী পেয়ে আমিও ইন্সপায়ার হলাম। যদিও বান্ধবীরা অনেক বড় মাপের উদ্যোক্তা। আগে থেকেই ঢাকা যুব উন্নয়ন থেকে বিভিন্ন কাজের ট্রেনিং ছিল আমার। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই আমার একটা নেশা ছিল বুটিক্সের উপর। করোনাকালীন এই বন্দি জীবনের সময় বেশ লম্বা একটা সময় পেলাম এই থেকে শুরু হলো হাটি হাটি পা পা করে আমার উদ্যোক্তা জীবন। প্রথম আমার ব্রান্ডিংবেড কভার, বাহাড়ি আচারের, ভীষণ সারা পেলাম।

উদ্যোগ নিয়ে কি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হতে হয়?

উদ্যোক্তা জীবনের নানা দিকে প্রতিবন্ধকতা। উদ্যোক্তার জীবনের বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তার জীবনে প্রতিটা পদক্ষেপে বাধা আর বাধা। একজন নারীর উদ্যোক্তার কথাই বলি, যথেষ্ট মূলধনের অভাব, একজন নারীর উদ্যোক্তার বিয়ের পরে চাকরি বা নিজের নামে তেমন কোনো সম্পত্তি থাকে না তাই সে ব্যাংক লোন নিতে পারে না! আমাদের দেশে একটা মেয়ের বিয়ের পরে তার স্বামী সন্তান পরিবার এগুলো দেখাটাই যেন তার প্রধান কাজ হয়ে পড়ে। নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় নেই। একজন পুরুষ উদ্যোক্তা যেখানে মন চায় রাত বা দিন হোক সে বিনা দ্বিধায় যেতে পারে। কিন্তু একজন নারী উদ্যোক্তার জন্য তা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ে।

যে ব্যবসাই করি না কেন খুব পড়াশোনা জানতে হবে এমন না তবে যে ব্যবসাটাই করি তার ওপর একটা ভালো ধারণা থাকতে হবে অবশ্যই সব প্রতিকূলতা এড়িয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

কীভাবে এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেন?

তীব্র আকাঙ্ক্ষা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সবার আগে নিজেকে চিনতে হবে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। নিজের একটা আইডেন্টিটি থাকবে প্রতি দিনের তা থাকতে হবে এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পাঁচ বছর পর নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে দেখতে চাই। যেখানে অন্তত কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের জোগান দিতে পারি এবং নিজের ব্যবসাকে একটা ব্র্যান্ডিং করতে পারি তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।