শিশুদের ত্বক হয় খুব সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর। তাই তাদের জন্য নিরাপদ, এমন প্রসাধনীই ব্যবহার করা উচিত। ছোট থেকেই সন্তানের ত্বক নিয়ে যতটা চিন্তা অভিভাবকদের থাকে, তেমন সমস্যা কিছু না হলে আলাদা করে চুল নিয়ে কিন্তু মাথাব্যথা চোখে পড়ে না। কিন্তু মাথার চুল যখন স্বাভাবিকের চেয়েও পাতলা হতে শুরু করে, তখন নানা রকম তেল মাখাতে শুরু করেন মায়েরা। অনেকেই মনে করেন, বার বার মাথা কামিয়ে দিলে চুলের ঘনত্ব বাড়বে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ছোট্ট সোনামণির মাথায় যদি একরাশ চুল দেখতে চান, তা হলে যত্ন নিতে হবে মাথার ত্বকের। তবেই চুল মজবুত হবে, ঘনত্বও বাড়বে। তার জন্য সব সময়ে বাজার থেকে নামি সংস্থার দামি তেল কেনার প্রয়োজন নেই। সাধারণ কয়েকটি তেল দিয়েও শিশুর চুলের পরিচর্যা করা যায়।
নারকেল তেল : খাঁটি নারকেল তেলের কোনো বিকল্প হয় না। বড়দের তো বটেই, নবজাতকের ক্ষেত্রেও এই তেল নিরাপদ। শুধু যে বড়দের মাথার ত্বকেই সংক্রমণ হয়, এমনটা কিন্তু নয়। শিশুদের মাথা থেকেও মৃত কোষ ওঠে। নারকেল তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
কাঠবাদামের তেল : ভিটামিন ‘ই’ এবং প্রয়োজনীয় নানা খনিজে ভরপুর কাঠবাদামের তেলও মাথার ত্বকের জন্য ভালো। মাথার ত্বকে কোনো রকম সংক্রমণ বা প্রদাহ নিরাময়ে এই তেলের জুড়ি মেলা ভার। ছোট থেকে এই তেল শিশুর মাথায় মাখাতে পারলে চুলের মান ভালো হয়। ওজন কমানোর আশায় রাতেও স্যালাড খাচ্ছেন, কিন্তু পেটের রোগ বশে থাকছে না, কেন জানেন?
অলিভ অয়েল : মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারে অলিভ অয়েল। বিশেষ করে যে সব শিশুর মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক বা যাদের চুল কোঁকড়ানো- তাদের জন্য এই তেল বিশেষ উপকারী।