তাবাসসুম তিন্নি। উদ্যোগের নাম অনলাইন দোকান ডটকম। উদ্যেক্তা কমিউনিটিতে পরিচিত মুখ। উদ্যেক্তা হবার পেছনের গল্প জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বরাবরই অরগানিক পণ্য নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি তারই ধারাবাহিকতায় আমি হোমমেইড হেয়ার ওয়েল নিয়ে কাজ করা শুরু করি। আমি একজন পেশায় চাকরিজীবী একটি সনামধন্য ফুড কোম্পানিতে একটি সেলস টিম লিড দিচ্ছি সে সুবাদে আমাকে মিটিং করার জন্য অনেক জায়গায় যেতে হয়। তাই আমার চুলের আগা ফেটে যাচ্ছিল। অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। আম্মার মুখে আমি আমার নানি কীভাবে চুলের যত্ন নিত তার গল্প শুনতাম। সে গল্প শুনে আমি আমার চুলের জন্য তেল বানানো শুরু করি। আর এ থেকে আমার হোমমেইড হেয়ার ওয়েল নিয়ে কাজ শুরু করা। আমার মনে হয়েছে ছেলে বা মেয়ে উভয়ের সৌন্দর্য এর পরিচয় বহন করে সুন্দর ঝলমলে চুল। তাই আমি এত পণ্য থাকতেও আমি হোমমেইড হেয়ার ওয়েল নিয়ে কাজ শুরু করি এছাড়াও আমি দেশীয় সালোয়ার-কামিজ আর মেয়েদের অরনামিক্স নিয়ে কাজ করি। তিনি আরও জানান, আজ থেকে আরো ৪ বছর আগে আমার চুলের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। আগা ফাটা থেকে শুরু করে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাচ্ছিল। আম্মা মুখ থেকে শুনে আমার নানি কীভাবে চুলের তেল বানিয়ে দিত সেভাবে আমিও বানিয়ে দিলাম এরপর দুই মাসের মাথায় ভালো ফল পেলাম। তারপর আমার বন্ধু পাড়া প্রতিবেশী, কলিগ দের সেইম সমস্যা শুনে তাদের ও দিলাম তারা ও ভালো ফল পেল এখান থেকেই আমার যাত্রা শুরু। তিন্নি খুব ভাগ্যবতী। কেননা এখন পর্যন্ত কাজ করতে গিয়ে তাকে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হয়নি। তিনি জানান, আমার পরিবারে আমার আম্মা আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমার হাসবেন্ড আমার সবচেয়ে বড় সহযোগী। আমার ছোট ভাই আমার ছেলেকে সব সময় মায়ের মতো আগলে রেখেছে। আজকে আমি যা তার পুরোটা অবদান আমার পরিবারের। আমি অনেক সাধীনচেতা মানুষ কোনো প্রতিবন্ধকতা আমাকে ঠেকাতে পারে না। ৫ বছর পর আমি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান তিনি। তিনি স্বপ্ন দেখেন, তার নিজের একটা কম সংস্থান থাকবে যেখানে সব মহিলা কর্মী থাকবেন যারা সমাজে অনেক অবহেলিত আমি তাদের সাথে একসাথে কাজ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলে নিজের একটা প্রতিষ্ঠান করতে চাই।