সন্তানদের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে তাদের ভালো-খারাপ বিষয়গুলো নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ নেই। প্রতিটি বিষয় বোঝানো সব বাবা-মায়ের জন্যই কঠিন কাজ। অনেক সময় শিশুরা জেনে বা না জেনে অনেক ভুল পদক্ষেপ নেয়। এর ফলে অভিভাবকের টেনশন বেড়ে যায়। এজন্য অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি ২৪ ঘণ্টা কড়া নজর রাখেন। অভিভাবকরা মনে করেন, এটা করা ভালো কাজ, কিন্তু এর ফলে শিশুদের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা। শিশুদের অত্যধিক নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করার অভ্যাসকে বিশেষজ্ঞরা হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলেছেন। যে বাবা-মায়েরা সবসময় তাদের সন্তানের প্রতিটি কার্যকলাপের ওপর নজর রাখেন এবং তার চারপাশে ঘোরাঘুরি করেন। অভিভাবকরা মনে করেন, সবসময় তাদের সন্তানদের প্রতি নজর রাখা ভালো, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষণার মতে, অভিভাবকত্বের এই পদ্ধতি শিশুদের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। শিশুদের জীবনে অত্যধিক হস্তক্ষেপ ও তাদের প্রতিটি কার্যকলাপ এবং কথোপকথনের উপর নজর রাখা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয় না। এ কারণে শিশুরা দ্রুত বেড়ে উঠতে পারে না এবং অনেক সময় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং শিশুদের বিকাশ এবং বৃদ্ধি প্রভাবিত করে। এর কারণে, শিশু নিজেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে অক্ষম বোধ করবে এবং অস্বস্তি বোধ করবে।