দেশের মধ্যে টপ টেন হেয়ার এক্সপার্ট হতে চাই

ফারহানা। উদ্যোগের নাম মেরিট প্লাস পার্লার অ্যান্ড মেকওভার। নারী উদ্যেক্তা হিসেবে তার ক্যারিয়ারের নানা প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন নারী ও শিশু ডেস্কের সঙ্গে।

আপনার উদ্যোগের নাম

আমি সৌন্দর্যচর্চা নিয়ে কাজ করি। আমার পার্লারের নাম মেরিট প্লাস পার্লার অ্যান্ড মেকওভার।

এত পণ্য থাকতে এই পণ্য কেন বেছে নিলেন?

আমার আসলে কখনো ইচ্ছা ছিল না সৌন্দর্য চর্চা নিয়ে কাজ করার। কাকতালীয়ভাবে হয়ে গিয়েছে এই কাজটা করা।

উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই

আমার আসলে সব সময় ইচ্ছে ছিল পোশাক নিয়ে কাজ করা। হঠাৎ করেই একদিন আমি মনে করলাম যে পার্লার দেওয়া উচিত আমি যে এরিয়াতে থাকি ওখানে ভালো কোন পার্লার নেই সৌন্দর্য চর্চা নিয়ে আসলে কাজ করলে হয়তো বা ভালো কিছু করতে পারব। তারপর সাত দিনের ভিতরে সিদ্ধান্ত পার্লারে কাজ শিখব এবং ওই সাত দিনেই আমার পার্লারে ডেকোরেশন এর কাজ করে ফেলি ১০ থেকে ১৫ দিন পরে আমার পার্লার টা উদ্বোধন করে ফেলি। হেয়ার স্টাইল নিয়ে আমার বরাবর ছোটবেলা থেকে খুব মনে হতো যে হেয়ার স্টাইল কিংবা এক্সক্লুসিভ হেয়ার কাট আমি কাটব। নাইনটিন ১৯৯৯ এর কথা। ইউনিলিভার একটা প্রোগ্রাম করেছিল, যেখানে সব সেলিব্রেটি কিংবা উচ্চবিত্ত যারা আছেন, তারা ওখানে গিয়ে একদিনের জন্য হেয়ারকাট কিংবা হেয়ার স্টাইল করে আসতে পারবে এবং যেটার চার্জ ছিল ৫০০০ টাকা। এরপর থেকে আমার কাছে মনে হলো যে, এত টাকা দিয়ে একটা হেয়ারকাট মানেকি হেয়ার কাট। তারপর থেকেই হেয়ারকাট কিংবা হেয়ার স্টাইলের প্রতি আমার কাজ করার উৎসাহ জাগে।

উদ্যোক্তা নিয়ে প্রতিবন্ধকতা কি?

আমি যখন কাজ শুরু করেছি এখন পার্লার নিয়ে মানুষেরদ্বিমত পোষণ করত। আমার পরিবার থেকেই অনেকে না করেছিল যে এগুলো কাজ করা ভালো না। আমার ছোটবেলা থেকেই একটা মনোভাব ছিল আমি যেটা করব সেটা আমি করেই ছাড়ব এর জন্যই আজকে ২০ বছর হয়ে গেল করছি।

এসব প্রতিবন্ধকতা কীভাবে মোকাবিলা করেছেন?

পারিবারিকভাবে যেটা বাঁধে এসেছিল, সেটা তো আসলে কোনো কথা মাথায় না নিয়ে কাজ করেছি। সামাজিকভাবে যে বাধাটা এসেছিল সেটাও আসলে খুব ধৈর্য সহকারে মোকাবিলা করেছি।

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ৫ বছর কোথায় দেখতে চান?

আমার আসলে এই ব্যবসাটা ২০ বছরের। কিন্তু আমি নিজে কাজ করা শুরু করেছি চার বছর হলো। আমার সাথে আরো কাজ করে চার থেকে পাঁচজন। আমি আসলে চাই বাংলাদেশের মধ্যে টপ টেন হেয়ার এক্সপার্ট হব।