ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হবু মায়ের পোশাক

হবু মায়ের পোশাক

নারী জীবনের সুন্দর একটি অধ্যায় গর্ভাবস্থা। এ সময় সবচেয়ে আগে যে পরিবর্তনটা আসে সেটা হচ্ছে শারীরিক পরিবর্তন। এই শারীরিক পরিবর্তন দৈনন্দিন জীবনে বেশ প্রভাব ফেলে। এ সময় নারীদের সাধারণত মানসিক চাপও একটু বেশি থাকে। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের ডাক্তার শুভজিৎ রায় বলেন, এই সময়টা অন্য সময় থেকে আলাদা। এ সময় পোশাক-আশাকে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। একটু ঢিলেঢালা পোশাকের দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিদিনের পোশাক প্রতিদিন ধুয়ে ফেলতে হবে। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতে হবে। কারণ এই সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে অনেক ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও পেটে চাপ পড়ে।

নার্সিং ড্রেস : মেটারনিটি বা নার্সিং ড্রেসকে এখন একটি সুন্দর পোশাক হিসেবে ধরা হয়। এই পোশাক শুধু স্টাইলিশ নয়, আরামদায়কও বটে। গাউন, মিডিস বা কাফতান পোশাক এই সময়ে ওয়্যারড্রবে রাখতে ভুলবেন না যেন। বিভিন্ন ধরনের নকশা, উপাদান, রং ও ফ্যাশন-শৈলীর দিকে নজর রাখতে পারেন। এছাড়া সেই পোশাক দীর্ঘমেয়াদি ও বহুমুখী কাজের জন্য ফেব্রিক কি না তা-ও দেখে নেবেন। এমন পোশাক বাছুন যা প্রসবের আগে ও পরে, দুই সময়েই পরতে পারেন।

লেগিংস : গর্ভাবস্থায়ও মেয়েরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিয়মিত অফিসে যান। তারা কিন্তু আরামসে লেগিংস পরে অফিসে যেতে পারেন। সুতি বা লিনেনের কুর্তির সঙ্গে লেগিংস খুবই মানানসই। বেশিরভাগ নারীই জিনস ও টপ পরতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

মেটারনিটি জিনস : গর্ভাবস্থায় জিনস পরাটা একটু চাপের হয়ে যায় কোনো কোনো সময়ে। এখন অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কথা মাথায় রেখে বাজারে নানা ডিজাইনের ও প্যাটার্নের মেটারনিটি জিনস কিনতে পাওয়া যায়। যেগুলো পরে ফ্যাশন করা তো যায়ই পাশাপাশি এগুলো খুব আরামদায়কও হয়।

ফ্রক : যেহেতু এই সময় খুব দ্রুত স্বাস্থ্যের পরিবর্তন ঘটে। প্রায় প্রতি সপ্তাহ থেকে শুরু করে প্রতি মাসেই এই সময়ে স্বাস্থ্যের পরিবর্তন ঘটে এবং সে পরিবর্তনগুলো চোখে পড়ার মতো। সেই ক্ষেত্রে সব সময় নতুন পোশাক বানানো সম্ভব না।

তাই ফ্রক হতে পারে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের জন্য অন্যতম একটি পোশাক। কারণ এই পোশাকটি ঢিলেঢালা ধরনের তাই এই পোশাকটি পরে আরাম করে স্বস্তি নিয়ে চলাফেরা করা যায়। বিশেষ করে চাকরিজীবী অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের জন্য এই পোশাকটি একদম মানানসই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত