ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উদ্যোক্তা হওয়া সহজ নয় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ রয়েছে

ইলোরা মোস্তাফী রিমা। উদ্যোগের নাম ড্রিম অ্যান্ড হোপ অনলাইন। উদ্যোক্তা জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছে নারী ও শিশু বিভাগের সঙ্গে।
উদ্যোক্তা হওয়া সহজ নয় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ রয়েছে

এতো পণ্য থাকতে এই পণ্য বেছে নিলেন কেন?

পণ্য নির্বাচনে যে বিষয়টি মাথায় রেখেছিলাম সেটি হলো, এমন হবে যে মানুষ শখে নয় বরং প্রয়োজনে কিনবে।

উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই?

আমি ইলোরা মোস্তাফী রিমা, যশোরের মেয়ে। যশোর মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশিওয়োলজিতে অনার্স, মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। যখন ক্লাস ফোরে পড়ি, তখনই বাবা- রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। জীবনের অনেক দুঃসময় ও সুসময় দুটোর স্বাদই পেয়েছি পরিপূর্ণভাবে। কৈশরে আর ১০টা মেয়ে যখন রঙিন স্বপ্নে বিভোর থেকেছে, আমি তখন জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পয়সা উপার্জনের চেষ্টায় ব্যস্ত থেকেছি। তাই তো ক্লাস নাইনে পড়াকালীনই দুইটি টিউশনি করতাম এবং যশোর ইনস্টিটিউট নাট্যকলা সংসদের একজন নিয়মিত অভিনয় শিল্পী হিসাবে উপার্জন করে গেছি। প্রাপ্তি হিসেবে ছিল বিটিভির একজন শিল্পী হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া। জীবনের তাগিদে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে থাকা অবস্থাতেই চাকরি নিয়ে যশোর থেকে ঢাকা চলে আসি। ২০১৬ সালে কিছু শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর প্লাস চাকরির জীবনের ইতি টানি। ভেবেছিলাম এবার একটু বিশ্রাম করব, আর তেমন কিছু করব না। তবে কিছু দিন যেতে না যেতেই মনে হলো- আমার মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সবসময়ই উপার্জনের মধ্যে থেকেছি এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী থাকাটাই আমার বেশি পছন্দ। তাছাড়া আমি মনে করি প্রতিটি মেয়ের নিজের ন্যূনতম খরচ চালানোর ব্যবস্থা রাখা উচিত। তখনই ঠিক করলাম, এবার চাকরি নয় বরং জীবনের সকল অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজে কিছু করব। যেখানে পয়সা উপার্জনের পাশাপাশি আত্মতৃপ্তিও থাকবে। সিদ্ধান্ত নিলাম অনলাইন ও অফলাইনে ব্যবসা করব। ব্যাস, নেমে পড়লাম উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইয়ে। হোমমেড গুঁড়া মসলা নিয়ে শুরু করলাম আমার পথ চলা।

আর এটাই হলো- একজন উদ্যেক্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় অব্যাহত একজন রিমার চলার পথের মূল মন্ত্র।

উদ্যোগ নিয়ে প্রতিবন্ধকতা কী বলে মনে করেন?

প্রতিবন্ধকতা বলতে, অনেক শুনেছি যে কেন চাকরি ছেড়ে মসলা বিক্রি করছি? অনেক বিরূপ চাহনী ও মন্তব্য শুনেছি; কিন্তু ওগুলো গায়ে মাখিনি। আমি আমার মতো করেই এগিয়ে গিয়েছি।

কীভাবে এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেন?

আমি আমার মতো করেই চলি শালীনতা বজায় রেখে। পরিশ্রম করে উপার্জন করছি। কাজ করছি ও করে যাব শুধু এটাই মাথায় রাখি।

৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, ৫ বছর পর আমার পণ্য ও আমার নাম এমন এক ব্রান্ডে পরিণত হবে যে, একটির নাম নিলে আরেকটি মানুষের মুখে এমনিতেই চলে আসবে। পাশাপাশি ব্যবসার পরিধি আরো পরিসর করতে চাই, যেন আরো বেশি সংখ্যক অস্বচ্ছল মেয়েরা আমার পণ্য নিয়ে নিজেদের আত্মণ্ডকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত