শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য তার হাড়ের যত্ন নেয়া জরুরি। এক্ষেত্রে তার খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ শিশুই মুখরোচক ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে বেশি মনোযোগী হয়। প্রায় সব শিশুই ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে বেশি ভালোবাসে। কিন্তু এ ধরনের খাবারে কোনো পুুষ্টি থাকে না। তাই শিশুর হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে হবে। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এক্ষেত্রে উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক-
দুগ্ধজাত পণ্য : দুগ্ধজাতদ্রব্য যেমন দুধ, পনির এবং দই ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা হাড়ের বৃদ্ধি এবং শক্তির জন্য অপরিহার্য। আপনার শিশুর ডায়েটে দুগ্ধজাত খাবার যোগ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তাকে স্মুদি, শেক, দই দেয়া সালাদ, স্যান্ডউইচ এবং মধু মিশ্রিত দই খেতে দেয়া।
সবুজ শাক : গাঢ় পাতাযুক্ত সবুজ শাক যেমন পালং শাক, মেথি শাক, সরিষা শাক ইত্যাদি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস, যা পর্যাপ্ত পুষ্টি দেয়। সেই সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্য, বিপাকীয় হার বাড়ায় এবং হাড়ের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে এবং জীবনীশক্তি উন্নত করে। আপনার শিশুকে শাক-সবুজ খাওয়ানোর একটি সহজ উপায় হলো পাস্তা, পিৎজা, পানীয়, স্যান্ডউইচের এগুলো যোগ করা।
মাছ : ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনের মতো ফ্যাটি মাছ হাড়ের স্বাস্থ্য, হাড়ের খনিজ ঘনত্ব এবং শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণের উন্নতিতে কাজ করে। তাই শিশুর হাড়ের সুস্থতার জন্য এ ধরনের খাবার খেতে দেয়া জরুরি।
বাদাম এবং বীজ : বাদাম এবং বীজ যেমন বাদাম, চিয়া বীজ এবং তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আপনার শিশুর ডায়েটে এ ধরনের খাবার যোগ করার একটি সহজ উপায় হলো স্মুদি, শরবত, শেক তৈরিতে এ ধরনের খাবার যোগ করা। দই বাটি বা ওটমিলের উপরে বাদাম এবং বীজও দিতে পারেন।
মটরশুঁটি : ছোলা, কিডনি বিন, মসুর ডাল এবং কালো মটরশুঁটি ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনের ভালো উৎস, যা শিশুর হাড়ের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্যুপ, স্ট্যু বা ভাতের সঙ্গে সেদ্ধ মটরশুটি যোগ করুন। সুস্বাদু মটরশুঁটি শিশুর হাড় ভালো রাখতে কাজ করবে।