ঢাকা ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জয়ের আশা জাগিয়েও হারের হতাশাই সঙ্গী টাইগারদের

জয়ের আশা জাগিয়েও হারের হতাশাই সঙ্গী টাইগারদের

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হবে বলেই মনে হচ্ছিল। তৃতীয় দিনের প্রথম দুই সেশন শেষে বড় হারের আশঙ্কায় ছিল টাইগারদের। এমনকি খেলা চতুর্থ দিনে যাবে কি-না এই আলাপও চলছিল। যদিও স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান না থাকায় বাংলাদেশের জয় নিয়ে একটু খটকা ছিল।

ভারতের বিখ্যাত ব্যটিং লাইনআপের কাছে ১৪৫ রান আর কী এমন আহামরি ব্যাপার। তবে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলের সাকিব আর মিরাজের ঘূর্ণিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনা শুরু করে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শুরুতে জয়ের জন্য ছয় উইকেট হাতে নিয়ে ভারতের দরকার ছিল ১০০ রান। তবে মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে সেটিই পাহাড়সম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে হচ্ছিল।

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের প্রথমদিকেই ১৮ রানের ব্যবধানে জয়দেব উনাদকাট, ঋষভ পান্ত, অক্ষর প্যাটেলকে ফিরিয়ে শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল বাংলাদেশের। টাইগাররা তখন জয়ের স্বপ্ন দেখলেও তাতে সেই আশায় জল ঢেলে দেন শ্রেয়াস আইয়ার এবং রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ৮ম উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটিতে ৩ উইকেটের জয় পায় ভারত।

চতুর্থ দিনের শুরুতে মিরাজের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে উনাদকাটকে এলবিডব্লিউর আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটের আগে প্যাডেই বল লাগলেও অল্পের জন্য আম্পায়ার্স কল হওয়ায় বেঁচে যান উনাদকাট। ঠিক পরের বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে পাল্টা জবাব দেন তিনি।

তবে উনাদকাটের দেওয়া হতাশা বেশিক্ষণ হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। পরের ওভারেই ১৬ বলে ১৩ রান করা উনাদকাটকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। এরপর ক্রিজে আসা রিশাভ পান্টকে নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় ছিল টাইগাররা। সাকিবকে রিভার্স সুইপ করে নিজের সহজাত খেলাও শুরু করেন তিনি। তবে বেশিক্ষণ এগোতে পারেননি তিনি। ৯ রান করা পান্টকে এলডব্লিউর ফাঁদে ফেরান মিরাজ।

এক প্রান্ত আগলে রেখে তখন পথের কাঁটা হয়ে ছিলেন অক্ষর প্যাটেল। মিরাজের বলে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন অক্ষর, তবে নিচু হওয়া বলটির নাগাল পাননি। অক্ষরের প্যাডে লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে। ৩৪ রান করা অক্ষর যখন মিরাজের পঞ্চম শিকার হয়ে ফিরে যান, তখনও জয় থেকে ৭১ রান দূরে ভারত।

পরের গল্পটা শুধুই শ্রেয়াস আইয়ার এবং রবীচন্দ্রন অশ্বিনের। তবে সেটি শুর হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেতে পারতো। অশ্বিন যখন এক রানে ব্যাট করছিলেন, তখন মিরাজের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন। কিন্তু তার ক্যাচ ফেলে দেন মুমিনুল। তাছাড়া খালেদ আহমেদের বলে স্লিপেও সুযোগ এসেছিল। কাঙ্ক্ষিত সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারেনি টাইগাররা।

জীবন পাওয়া এই অশ্বিন শেষটায় ঝড়ো গতিতে খেলে অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। তাতে ছিল ৪টি চার ও ১ টি ছয়। আইয়ার অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে। বল হাতে মোট ৬ উইকেট আর শেষটায় ম্যাচ জেতানো ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অশ্বিন। ২০২ রান করে সিরিজসেরা শ্রেয়াস আইয়ার।

ক্রিকেট,ভারত,খেলা,বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত