২০২৩ সালে ফুটবল

র‍্যাংকিংয়ে উন্নতিতে চোখ বাংলাদেশের

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন সংস্করণ

ফাইল ছবি

২০২২ সালটি খুব একটা ভালো যায়নি জামাল ভূঁইয়াদের। আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে তারা জয় পেয়েছেন মাত্র একটিতে। দুটি ড্র ও পাঁচটিতে হার দেখতে হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে। বছর শেষ করতে হয়েছে ১৯২-তে থেকে। এবার নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প বাংলাদেশের।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ফিফা প্রীতি ম্যাচ ছাড়াও রয়েছে ২০২৬ যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকো বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইপর্ব। হওয়ার কথা রয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও। তাই নিজেদের নতুন করে পরখ করে দেখার সুযোগ।

তবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া এখনও দিবাস্বপ্নের মতো। সুযোগ রয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কিছু করে দেখানোর। গতবার তো মালদ্বীপে অল্পের জন্য ফাইনালে খেলতে পারেনি জামাল-তপুরা।

এছাড়া এর আগে প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারবে বাংলাদেশ। দলটির কোচ হয়ে ডাগ আউটে আছেন স্প্যানিশ হাভিয়ের কাবরেরা। নতুন বছরে তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর শোনা যাচ্ছে। কাবরেরার অধীনে প্রথম বছর যেভাবেই কাটুক না কেন, ২০২৩ সালে নিশ্চয়ই এর চেয়ে ভালো কিছু করে দেখানোর তাগিদ অনুভব করবেন।

নতুন বছরের নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাবরেরার দলটির অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নিজেও অবগত। পুরো বছরে যে  কয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে সেখান থেকে পয়েন্ট নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা এই মিডফিল্ডারের।

তাতে করে যদি র‌্যাংকিংয়ে একটু একটু করে উন্নতি হয়। নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমকে ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আসলে গত বছরে আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু অধিকাংশ ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষরা শক্তিশালী ছিল। যে কারণে ভালো খেলেও একাধিক ম্যাচ জিততে পারিনি আমরা। এখন আমাদের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। আশা করছি, নতুন বছরে ভালো কিছু হবে।’

র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির জন্য কাছাকাছি দলগুলোর বিপক্ষে বেশি বেশি ম্যাচ খেলতে আগ্রহী ডেনমার্ক থেকে আসা এই ফুটবলার, ‘আসলে আমরা কাছাকাছি র‌্যাংকিংয়ে থাকা দলগুলোর সঙ্গে খেলতে চাই। তারপর ধাপে ধাপে আরও শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হবে। এতে করে ধীরে ধীরে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি হওয়ার সুযোগ থাকবে।’

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইপর্বের বড় পরীক্ষায় পাস করার বড় চ্যালেঞ্জ জামালদের সামনে। ফুটবলের পালে ইতিবাচক হাওয়া যে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই লক্ষ্যে নতুন বছরটি ভালোভাবেই স্বাগত জানাচ্ছে লাল-সবুজ দলের সেনানিরা।

মেয়েদের বেলায় কিন্তু চ্যালেঞ্জটা অন্যরকম। ২০২২ সালটি তাদের জন্য পয়মন্ত ছিল। প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে দেশে ফিরে পেয়েছে ছাদখোলা বাসের সংবর্ধনা। পুরো দেশ আনন্দে ভেসেছে সাবিনা-কৃষ্ণাদের কীর্তিতে।

তবে নতুন বছরে তাদের সামনে আপাতত প্রীতি ম্যাচের হাতছানি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় হওয়ার কথা রয়েছে ম্যাচ। বাফুফে চাইছে মেয়েদের আরও অভিজ্ঞ করে তুলতে। সেই সঙ্গে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি ঘটাতে।  নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সাফ জিতেছি আমরা। নতুন বছরে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করবো। এছাড়া ফিফা-এএফসি আয়োজিত যে কোনও খেলাতে আমরা তো অংশ নেবোই। এতে করে মেয়েরা আরও অভিজ্ঞ হবে। জিতলে তো র‌্যাংকিংও বাড়বে। আমরা আসলে সারা বছরই মেয়েদের খেলাটা মাঠে রাখতে চাই।’

নতুন বছরটিতে সবাই ইতিবাচক মাঠে খেলতে চাইছে। যেন ফুটবলের পালে নতুন করে হাওয়া লাগে। এখন দেখার ২০২৩ বছর শেষে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি কিংবা সাফল্য কতটুকু আসে।