শেষবারের মতো সান্তোসে এলেন ফুটবলের রাজা পেলে। তার আশৈশবের ক্রীড়াভূমি ভিয়া বেলমিরো স্টেডিয়ামে রাখা হয় এই কিংবদন্তির মরদেহ। সোমবার এই বিশ্বমানবতার দূতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন লাখো মানুষ। আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এখানেই রাখা হবে চিরনিদ্রায় শায়িত পেলেকে। শেষকৃত্যের বাকি কাজ সম্পন্ন হবে আজ। পেলের মা তাকে শেষ একবারের মতো দেখবেন। ১০০ বছর বয়সি শয্যাশায়ী সেলেস্তে আরান্তেস ছেলেকে দেখার পরই তাকে সমাহিত করা হবে মেমোরিয়া নেকরোপোল একিউমেনিকার সমাধিস্থলে।
সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত পেলের শেষ শ্রদ্ধায় অনেক কিংবদন্তি ফুটবলারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফিফার বর্তমান সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। প্রিয় সন্তানের শেষ শ্রদ্ধায় উপস্থিত হন পেলের শতবর্ষী মা। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ডেইলি মিররের প্রধান প্রতিবেদক অ্যান্ডি লাইনস ঘটনাটিকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, খুবই মর্মস্পর্শী। দুজন পুলিশ অফিসার আমাকে বলেছেন, পেলের ১০০ বছর বয়সি মা, যিনি অসুস্থ। ছেলের শেষ শ্রদ্ধায় মাঠে এসেছেন।
পেলে আর বিশ্বমানবতা সময় কালের ঊর্ধ্বে। এর একটা প্রতীকী রূপ যেন ২০২২-২৩ মেলবন্ধন। পেলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ২০২২ সালে। আর তার শেষ যাত্রা ২০২৩ সালে।
গত ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাতে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে ইহলোকের মায়া কাটান ফুটবলের সমার্থক হয়ে ওঠা পেলে।
হাসপাতাল থেকে এই কিংবদন্তিকে বহন করা কফিন গতকাল সড়ক পথে আনা হয়েছে সান্তোসে। এরপর কফিন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। আজ তার মরদেহ নেওয়া হবে তার মায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে। বার্ধক্যের কারণে বিছানা থেকে উঠতে পারেন না পেলের মা। তারপরও গতকাল ছেলের শেষ শ্রদ্ধায় উপস্থিত ছিলেন স্বর্ণগর্ভা এই মা।
পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেশে ছুটে আসছেন বিশ্বকাঁপানো ফুটবলাররা। এরই মধ্যে প্যারিস থেকে ব্রাজিলে পৌঁছে গেছেন নেইমার। আজ আসবেন আরও অনেকে। ফুটবল সম্রাটের প্রয়াণের পর নেইমার লিখেছিলেন, পেলের আগে ফুটবল ছিল শুধুই একটি খেলা। তিনি সবকিছু বদলে দিয়েছেন।