ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ২২তম আসরে দুদিন আগে নাইজেরিয়ার কাছে পরাজয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই নাইজেরিয়ানদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিলের যুবারা। তবে খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
কাতার বিশ্বকাপে নেইমার-ভিনিসিয়াসদের নিয়ে গড়া জাতীয় দল কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল। এবার যুব বিশ্বকাপে একই ভাগ্য বরণ করতে হলো তাদের উত্তরসূরীরাদেরও। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইসরায়েলের যুবাদের কাছে ৩-২ গোলের পরাজয়ে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন ভেঙে গেল র্যামন মেনেজেসের শিষ্যদের।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে। প্রথমার্ধে দুই দলের লড়াই ছিল সমানে সমান। তবুও কেউই কাঙ্ক্ষিত ডেডলক ভাঙতে পারেনি। ফলে গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় ব্রাজিল আর ইসরায়েলের যুবারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জমে ওঠে লড়াই। একবার ব্রাজিল গোল করে তো কিছুক্ষণ করেই তা শোধ করে দেন ইসরায়েল। ম্যাচের ৫৬ মিনিটের মাথায় মার্কোস লিওনার্দোর গোলে লিড নেয় সেলেসাওরা। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সেলেসাওরা। ৬০ মিনিটে সমতা ফেরান ইসরায়েলের আনান খালাইলি। এরপর এগিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন ইসরায়েলের ফুটবলাররা। ব্রাজিলের ডিবক্সে এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
তবে স্পট কিক থেকে মারা সে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক কাইকে পেরেইরা আজারিয়াস। তবে গোলরক্ষক আগেই নিজের অবস্থানের পরিবর্তন করায় ফিরতি পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এবার অবশ্য বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করে ইসরায়েল। শেষদিকে ব্রাজিলও একটি পেনাল্টি পেতে পারতো। তবে প্রতিপক্ষের হাতে বল লাগার সন্দেহে ভিএআরের আবেদন করা হলে তাতে সাড়া দেননি রেফারি।
নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকা ম্যাচে মূল নাটকীয়তা ছড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯১ মিনিটে গোল করে ব্রাজিলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান ম্যাথিউস নাসিমেন্তো। তবে দুই মিনিট পরেই হামজা শিবিলের গোলে ফের সমতা ফেরে ইসরায়েল। ফলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে যোগ করা তৃতীয় মিনিটে গোল করেন ইসরায়েলের ডেভিড টার্গেম্যান।
এরপর ব্রাজিল আর সেই গোল শোধ করতে পারেনি। ফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর এক বুক হতাশা নিয়ে বিদায় নিতে হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। আর ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ইসরায়েলের যুবারা। এদিন তারা ৫৫ ভাগ বল দখলে রেখে মোট ২১টি শট নেয়, যার ৭টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ২০ শটের ৯টি লক্ষ্যে রেখেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ব্রাজিল।